বিবাহিত হিন্দু মহিলার সোলহ শৃঙ্গারে সিঁদুরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ মঙ্গলসূত্রের পরিবর্তে অন্য কোন হার বা অলঙ্কার পরা যেতে পারে, কিন্তু সিঁদুরের বিকল্প কিছুই নেই। সিঁদুর নিয়ে হিন্দু ধর্মে কঠোর নিয়ম রয়েছে।

বিবাহের পর থেকে মহিলারা প্রতিদিন স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় মাংগলিক চিহ্ন হিসেবে সিঁদুর পরেন। চলুন জানি, সপ্তাহের কোন দিন সিঁদুর পরা নিষিদ্ধ, এটি না করলে জীবনে কি প্রভাব পড়তে পারে এবং সিঁদুর পরার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম কি?

এই দিন ভুলেও সিঁদুর পরবেন না

হিন্দু ধর্মে মঙ্গলবার দিনটি হনুমানজি-এর নামে উৎসর্গিত। পুরাণ অনুসারে, একবার হনুমানজি তার শরীরে মা সীতার সিঁদুর পরেছিলেন। তখন থেকেই মঙ্গলবার দিনটি সিঁদুর অর্পণ করার দিন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। যেহেতু হনুমানজি হলেন ব্রহ্মচারী, তাই মঙ্গলবার মহিলাদের সিঁদুর পরা নিষিদ্ধ। ভারতে কিছু অঞ্চলে এবং বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে বৃহস্পতিবারও সিঁদুর পরা হয় না। এছাড়া এই দিন কিছু সম্প্রদায়ে লাল সিঁদুরের পরিবর্তে হলুদ সিঁদুর পরার প্রচলন রয়েছে।

সিঁদুর হতে পারে দম্পতির ঝগড়ার কারণ!

মঙ্গলবারের স্বামী গ্রহ হচ্ছে মঙ্গল, যা কঠোর এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের জন্য এবং স্বভাবের উগ্রতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী মনে করা হয়। ধারণা করা হয়, মঙ্গলবার সিঁদুর পরলে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে ঘরে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। এতে ঘরের সুখ-সমৃদ্ধির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

সিঁদুর পরতে ভুল করবেন না

হিন্দু ধর্মে সিঁদুর পরার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, যদি মহিলারা সিঁদুর পরার সময় কিছু ভুল করেন, তবে এটি স্বামীর জীবনে অশুভ প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি স্বামীর আর্থিক ক্ষতির কারণও হতে পারে। চলুন জানি, সিঁদুর পরার সময় কী কী ভুল এড়ানো উচিৎ এবং সিঁদুর পরার নিয়মগুলো কি?

ব্যবহৃত সিঁদুর অন্যকে দেয়া উচিৎ নয়।

সিঁদুর না দিয়ে মাঙ্গলিক চিহ্ন হিসেবে পরা উচিৎ নয়।

মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালীন সিঁদুর পরা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

ভেজা চুলে সিঁদুর পরা উচিৎ নয়, কারণ এটি স্বামীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

নিজের আত্মীয়দের ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বাইরে অন্য কারো অর্থে কেনা সিঁদুর পরা উচিৎ নয়।

সিঁদুর পরার পর ভুলবশত চুলে লুকানো উচিৎ নয়, কারণ এটি স্বামীর জীবনে ব্যর্থতার কারণ হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here