গত ২৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে এবারের শীত। AMU-র ভূগর্ভ বৈজ্ঞানিকরা তেমনই জানিয়েছেন৷ শীতকালে যে উত্তর ভারতে প্রবল শৈত্য প্রবাহ চলে তা তো কারও অজানা নয়। এদিকে উত্তর ভারতের শীতের তীব্রতা সরাসরি প্রশান্ত মহাসাগরে চলমান “লা-নিনা” প্রভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই জলবায়ু পরিবর্তন উত্তর ভারতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমিয়ে দিতে পারে বলে আশ্নকা করা হচ্ছে।

AMU-র ভূগোল বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ড. সলেহা জামাল জানিয়েছেন, লা-নিনার কারণে আমাদের অঞ্চলে তাপমাত্রার পতন এবং উচ্চ চাপযুক্ত শীতল হাওয়া বৃদ্ধি পাবে, যা উত্তর ভারতে শীতের প্রকোপ আনবে। তিনি বলেন, “এটি একটি জলবায়ু চক্র, যা আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তন ঘটায়। যেমন, আগে বৃষ্টি কম ছিল, তবে তারপর অনেক বেশি বৃষ্টি হয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই অস্থিরতা শীতেও দেখা যেতে পারে।”

প্রফেসর জামাল আরও বলেছেন যে, লা-নিনার সরাসরি প্রভাব রবি এবং খরিফ ফসলের ওপর পড়বে। মার্চ এবং এপ্রিল মাসে অস্বাভাবিক শীত এবং বৃষ্টি কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি জানালেন, প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়া ভূমধ্যরেখার সমান্তরালে পশ্চিম দিকে বইছে, যা গরম পানি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এশিয়ার দিকে নিয়ে আসে। আল-নিনো এবং লা-নিনার মতো প্রভাবগুলি শুধুমাত্র আবহাওয়াকেই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং পরিবেশকেও প্রভাবিত করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here