বাঙালি হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে, কালীপুজোর পরের দিন পালন করা হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। এই দিন মূলত ভাইয়েদের মঙ্গলকামনা করে তাঁদের দই-চন্দনের ফোঁটা দেন বোনেরা এবং ভাইরা তাঁদের বোনেদের চীরজীবন সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়। সাধারণত বোনেরা এই দিন চন্দন-কাজল-দইয়ের ফোঁটা দিয়ে নির্দিষ্ট মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে ভাইদের মঙ্গল কামনা করেন। আবার অনেকে দই-চন্দনের ফোঁটাই দেন, কিন্তু জানেন কেন এই তিনটি উপাদান দিয়েই ফোঁটা দেওয়ার রীতি?

যেকোনও শুভ কাজেই চন্দনের ব্যবহার আবশ্যিক। শুধু ভাইফোঁটা নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও কপালে চন্দনের তিলক ব্যবহারের রীতি রয়েছে। প্রাচীন কালে মুনি-ঋষিরাও নিয়মিত চন্দনের তিলক লাগাতেন। এর মুখ্য কারণ হিসেবে বিশ্বাস করা হয়, কপালে চন্দনের তিলক মনকে শান্ত রাখে, একাগ্রতা ও ধৈর্য্য বাড়ায়।

হিন্দু ধর্মে দইয়ের ফোঁটাকে শুভ বলে মনে করা হয়। সেই কারণেই শুধু ভাইফোঁটাই নয়, যে কোনও শুভ কার্য শুরু করার আগে বা কোনও জায়গায় যাওয়ার আগে কপালে দইয়ের ফোঁটা লাগানো হয়ে থাকে। এই একই কারণে ভাইফোঁটাতেও দই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এ বার আসা যাক কাজলের ফোঁটার কথায়। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, কাজল যে কোনও ধরনের খারাপ নজর কাটাতে সাহায্য় করে। এবং সেই কারণেই কু-নজর থেকে ভাইকে রক্ষা করতে কাজলের ফোঁটা ব্যবহারের চল রয়েছে ভাইফোঁটায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here