শিবের এক অবতার হল অবধূত অবতার। শিব পুরাণে মহাদেবের এই অবধূত অবতার ধারণের কাহিনির উল্লেখ পাওয়া যায়। শিব পুরাণের কাহিনি অনুযায়ী ইন্দ্রের অহংকার চূর্ণ করার জন্য এই অবতার নিয়ে ছিলেন মহাদেব। আবার স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী সতীর বিয়োগের পর শিব অবধূত বেশ ধারণ করে ভ্রমণ করছিলেন। এখানে শিবের অবধূত অবতারের কাহিনি সম্পর্কে জানানো হল।

ইন্দ্রের অহংকার ভাঙার জন্য শিব অবতার ধারণ করেন। নগ্ন অবস্থায়, সারা শরীরে ভস্ম লাগিয়ে পথে শুয়ে পড়েন তিনি। নিজের পথে এক সাধুকে নগ্ন অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ইন্দ্র। শিবরূপী অবধূতকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা শুরু করেন, কিন্তু শিবকে সেখান থেকে সরানো যায় না। তখন অহংকারী ইন্দ্র অবধূতরূপী শিবের অপমান শুরু করেন। কিন্তু তখনও শিব মৌন থাকেন এবং নিজের পরিচয় দেন না। ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্দ্র সেই অবধূতের ওপর প্রহার করার জন্য বজ্র তুলে নেন। কিন্তু প্রহার করতে গিয়েও তাঁর হাত থেমে যায়।

সমস্ত দৃশ্য দেখে বৃহস্পতি বুঝতে পারেন যে সেই অবধূত আসলে শিবের অবতার। বৃহস্পতি ইন্দ্রকে সেই অবধূতের আসল পরিচয় দিলে তিনি চমকে ওঠেন। নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হন ইন্দ্র। এর সঙ্গে ইন্দ্রের অহংকার ভেঙে যায় এবং শিবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

দ্বিতীয় কাহিনী মতে, সতীকে হারানোপ দুঃখে শিব জটাযুক্ত, নগ্ন, ভস্ম মাখা শরীরে মুণ্ড মালা ধারণ করে জগৎ সংসারে ভ্রমণ শুরু করেন। তাঁর এই স্বরূপই অবধূত নামে প্রসিদ্ধ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here