অনেকেই বাড়ি তৈরির সময় বাস্তুর নিয়ম মেনে চলেন। যারা বাস্তু নিয়ম মেনে বাড়ি করেন তারা অধিকাংশ সময় ভিত তৈরির সময় নাগ-নাগিনীর মূর্তি রাখেন। শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের পঞ্চম স্কন্ধে বর্ণিত আছে যে পৃথিবীর নীচে রয়েছে পাতাল আছে। সেই পাতালের অধিপতি হলেন শেষনাগ। তাই ভিতপুজোর সময় রূপোর সাপ রেখে পুজো করা হয়। সাপকে সম্পদের রক্ষক বলেও মনে করা হয়।
কথিত আছে যে যদি একটি রূপোর সাপ বাড়ির ভিত স্থাপনের সময় রাখা হয় তবে এটি পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ সাপ যেমন তার খোলস ছেড়ে নব রূপ ধারণ করে, একইভাবে যদি আপনার বাড়ি এমন জায়গায় তৈরি করা হয় যেখানে আগে একটি বাড়ি ছিল। জোড়া নাগ-নাগিনী পুরানো স্মৃতি ভুলতে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
শ্রীমদ্ভাগবতের দশম অধ্যায়ের ২৯তম শ্লোকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- “অনন্তশ্চাস্মি নাগনাম” অর্থাৎ আমি সাপের মধ্যে শেষনাগ। এই কারণেই ঘরের ভিতের মধ্যে একজোড়া রুপোর সাপ বসানো হয় যাতে বাড়িতে ঈশ্বরের বাস হয় এবং নেতিবাচক শক্তি কখনও প্রবেশ করতে পারে না।
রূপোকে বিশুদ্ধতার প্রতীক বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে ঘরের ভিতের মধ্যে সবসময় রুপোর সাপ রাখলে ঘরে শান্তি ও পবিত্রতা বজায় থাকে। তাছাড়া বাস্তুশাস্ত্র বলে নাগ-নাগিনী বাস্তু দোষ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।