সারা বিশ্বে ৫১টি সক্তিপীঠ রয়েছে। সতীর দেহত্যাগের পর ক্রোধিত শিব যখন স্ত্রির দেহ কাঁ&ধে নিয়ে তাণ্ডব নৃত্য করছেন তখন বিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহ খণ্ডিত করেন। সেই খণ্ডই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পড়ে তঈরি হয়েছিল সক্তিপীঠ। তেমনই একটি হল কালীঘাট। এই মন্দিরটি ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, এই শক্তিপীঠ সমগ্র ভারতে এক অনন্য বিশ্বাসের কেন্দ্র।

শাস্ত্র অনুসারে, বিশ্বাস করা হয় যে সতী মায়ের ডান পায়ের চারটি আঙুল এই স্থানে পড়েছিল, তাই এটিকে শক্তির ৫১টি শক্তিপীঠের একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
এই মন্দিরে মা কালীর বিশাল মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। কালী মায়ের লম্বা জিভ যা সোনার তৈরি তা বেরিয়ে এসেছে এবং হাত ও দাঁতও সোনার তৈরী। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে, দেবীকে স্নান করানোর সময় প্রধান পুরোহিতের চোখ বেঁধে দেওয়া হয়। মা কালিকা ছাড়াও শীতলা, ষষ্ঠী ও মঙ্গলচণ্ডীও রয়েছেন এই স্থানে।

এই মন্দিরটি ১৮০৯ সালে নির্মিত হয়েছিল। এই শক্তিপীঠে অবস্থিত মূর্তিটি কামদেব ব্রহ্মচারী দ্বারা পবিত্র করা হয়েছিল। কালীঘাট মন্দির অঘোর সাধনা এবং তান্ত্রিক সাধনার জন্য বিখ্যাত। মা শীতলাকে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। মঙ্গল ও শনিবার মন্দিরে প্রচুর ভিড় থাকে। মন্দির খোলার সময় ভোর ৫টা, দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত বন্ধ থাকে। মন্দিরটি আবার সন্ধ্যায় ৫টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here