সৈকত শহর দীঘাতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে চলছে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ। এবার এই মন্দির নির্মাণের কাজ সর-জমিনে খতিয়ে দেখতেই নিজেই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি বিরসা মুন্ডার ১৫০ তম জনবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বলেন, ‘আমি শীঘ্রই দিঘায় যাব জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দেখতে। সেখানে জগন্নাথের মার্বেল মূর্তি এসে গিয়েছে। তবে ট্রাডিশন মেনে ছোট্ট একটি নিমকাঠের ঠাকুর করেছি। সেটাই পুজো হবে। এছাড়াও বড় ঠাকুর, ভোগঘর, ট্রাস্টি বোর্ড, পুরোহিত, সব কিছুই হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই।’
শুধু তাই নয় দীঘার এই মন্দিরেই তৈরী হতে চলেছে একটি চৈতন্যদেবের তোরণ। মুখ্যমন্ত্রী যার নামকরণ করেছেন ‘চৈতন্যদ্বার’।
চলতি বছরের শুরুতেই অসমাপ্ত অবস্থায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রীর পথে যে তিনি হাঁটবেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অসমাপ্তভাবে কিছু উদ্বোধন করা মানে, তাঁকে অসম্মান করা হয়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শেষ হলে তবেই আমরা সেটি উদ্বোধন করব। কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। পুরো সম্পূর্ণ হলে তবেই চালু করব।’