স্বাধীনতার ৭৮তম দিবস উৎযাপিত হচ্ছে দেশজুড়ে। সবাই নিজের মতো করে এই মহোৎসবে পালন করছেন। প্রতিবারের মতোই সকাল থেকেই স্কুল-কলেজ-ক্লাব-অবাসন গুলোতে উত্তোলন হচ্ছে জাতীয় পতাকা, সমবেত কণ্ঠে গাওয়া গান ‘জন গন মন’। কিন্তু ঠিক কবে থেকে এই গানই হয়ে উঠল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত?
ভারতবাসীর কাছে এই গান শুধু জাতীয় সঙ্গীত নয়, বরং ভালোবাসা, অহংকার, গর্ব। এই গান শুনলেই খাঁড়া হয়ে যায় গায়ের রোম, গর্বে যেন বুক ফুলে ওঠে। ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর রবিঠাকুর লেখা এই গানকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল জাতীয় সংগীত হিসেবে। এই গানে প্রতিটি কলিতে রবিঠাকুর ফুটিয়ে তুলেছিলেন ভারতের সমৃদ্ধি, বৈচিত্র্য এবং সংস্কৃতি। ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতার কংগ্রেসের মিটিংয়ে প্রথমবার গাওয়া হয়েছিল ‘জন গন মন’। তখনও জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃত হয়নি এই গান।
১৯৪১ সালে সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় সংগীতকে বাংলা থেকে হিন্দিতে অনুবাদ করেন। ফৌজের ক্যাপ্টেন আবিদ আলি অনুবাদ করেন হিন্দিতে আর ক্যাপ্টেন রাম সিং সুর দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ইংরেজি সহ আরও ২২টি ভাষায় সেই সময় অনুবাদ করা হয়েছিল এই গান কে। ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা দেওয়া হয় ‘জন গন মন’কে। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ তা ঘোষণা করেন। সেই থেকে আজও ভারতীদের মুখে মখে ফেরে এই গান।
এই গানের অবমাননাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারতীয় সংবিধানের 51A(a) ধারায় ভারতবাসীকে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘প্রত্যেক দেশবাসীকে সংবিধান মেনে চলতে হবে এবং তার ধারণা ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে সম্মান করতে হবে।’ National Honour Act of 1971 সেকশন ৩-এ বলা হয়েছে, জাতীয় সংগীতের অবমাননা ও নিয়ম না মানলে কঠিন শাস্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।