আকাশের শরতের মেঘের আনাগোনা, মা আসছেন ঘরে। দুর্গা পুজোর পাঁচ দিন মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী হিসেবে পরিচিত। এই যে পাঁচ দিন, এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। পা৬চ দিন তো সকলেই আনন্দ করেন। কিন্তু এর বিশেষত্ব জানেন ক’জন? আসুন আজ বরং তা জেনে নেওয়া যাক।

মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়। সূচনা হয় দেবীপক্ষের। মা আসেন ঘরে। প্রথমা থেকে পুজো শুরু হলেও আক্ষরিক অর্থে দুর্গা পুজোর সূচনা হয় ষষ্ঠী থেকে। বলা হয় মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল।

পুরান বলে, ষষ্ঠীর দিন মহামায়া লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ ও কার্তিকের হাত ধরে মর্ত্যলোকে আসেন। মহাষষ্ঠীর দিন বাজে বোধনের ঘণ্টা। ঢাকের তালে মেতে ওঠেন মানুষ।

মহাসপ্তমীতে করানো হয় নবপত্রিকা স্নান। সূর্য ওঠার আগে, কলাগাছকে স্নান করানো হয় গঙ্গার জলে। তারপরে কলাবউকে শাড়ি পরিয়ে সাজানো হয় একেবারে নববধূর সাজে।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, দেবী দুর্গা মহাষ্টমীতে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। এই দিনই সকালে হয় কুমারী পুজো। ঋতুমতী হয়নি এমন বালিকা, ৯ বছরের নীচে দেবী দুর্গা হিসাবে পূজিত হয়। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে হয় ‘সন্ধি পুজো’। ‘সন্ধি পুজোর সমাপ্তিতে শুরু শুরু হয় মহানবমী।

বিজয়া দশমীতে হয় বরণ, সিঁদুর খেলা। এক বছরের জন্য আবার পিত্রালয়ে যাত্রা করেন উমা। প্রতিমা বিসর্জন, ঘট বিসর্জনের মাধ্যমে হয় দুর্গা পুজোর সমাপ্তি। সকলে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ দিয়ে শুরু হয় শুভ বিজয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here