মেয়ে মানেই সংসার আলোয় ভরে ওঠা। তবে মেয়েদের অধিকার সম্পর্কে অনেকেউ জানেন না। বর্তমানে মেয়েদের অধিকার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এই আইনগুলির লক্ষ্য হলো মেয়েদের অধিকার সংরক্ষণ করা এবং তা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে, ১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দেখা যায়, এই আইনে প্রায় ২০ বছর আগে, অর্থাৎ ২০০৫ সালে একটি সংশোধনী আনা হয়েছিল।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে মেয়েদের পিতার সম্পত্তিতে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছিল। তবে এই আইনের অধীনে কিছু শর্তও রয়েছে, যেখানে মেয়েরা পিতার সম্পত্তিতে অধিকার পান না। আসুন, জানি সেই নিয়মগুলো কী, যা মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
মেয়েরা কখন পিতার সম্পত্তিতে অধিকার পান না
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের অধীনে, মেয়েরা পিতার সম্পত্তিতে ছেলেদের মতো সমান অধিকার পান। তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে মেয়েরা পিতার সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারেন না।
১. পৈতৃক সম্পত্তি:
পিতার যে সম্পত্তি তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে প্রাপ্ত, সেই সম্পত্তিতেই মেয়েরা অধিকার দাবি করতে পারেন। এই অধিকার বিবাহের পরও কার্যকর থাকে। তবে যতদিন পিতা জীবিত থাকেন, ততদিন মেয়েদের এই সম্পত্তিতে কোনও অধিকার থাকে না।
২. স্ব-অর্জিত সম্পত্তি:
পিতার স্ব-অর্জিত সম্পত্তিতে মেয়েদের কোনও অধিকার থাকে না। আইনের চোখে, যে সম্পত্তি পিতা তার নিজস্ব উপার্জন বা পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছেন, সেই সম্পত্তিতে মেয়েরা অধিকার দাবি করতে পারেন না।
৩. বিতর্কিত সম্পত্তি:
যদি পিতার সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিতর্ক বা মামলা চলমান থাকে, সেক্ষেত্রে মেয়েরা সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারেন না।
কেন এই পরিবর্তন আনা হলো?
মেয়েদের, বিশেষত কন্যাদের, সমান অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৫৬ সালের হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে সংশোধনী এনে ২০০৫ সালে এটি মেয়েদের পক্ষে করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তিতে ছেলেদের সমান অধিকার প্রদান করা। তবে এই আইনেও কিছু পরিস্থিতিতে মেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার দাবি করতে পারেন না।
নতুন আইনের অধীনে মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তিতে অধিকার এখন আর নেই।