নবজাতকের জন্মের সময়, জন্মের মাস, দিন, রাশি, স্থান ইত্যাদি দেখে রাশিফল তৈরি করা হয়। রাশিফলের মধ্য দিয়ে শিশুর ব্যক্তিত্ব, গুণাবলী এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেকাংশে জানা যায়। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ দ্বাপর যুগে ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এবং রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন। কৃষ্ণ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জন্মাষ্টমীর দিনে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে বিশেষ গুণ থাকে।
২৭টি নক্ষত্রমণ্ডলের মধ্যে রোহিণী হল চতুর্থ নক্ষত্রমণ্ডল, যার প্রধান দেবতা ব্রহ্মা এবং এর অধিপতি শুক্র। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই নক্ষত্রটি অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। জন্মাষ্টমীর দিনে রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণকারী ছেলেরা খুব ক্রীড়াপ্রেমী, সৃজনশীল হয়। এই রাশিতে জন্মগ্রহণকারী মেয়েরা সুন্দর, মৃদুভাষী, পরিবারের প্রিয় এবং যে কোনও সম্পর্কের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, জন্মাষ্টমীর দিনে এই সংমিশ্রণে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা প্রচুর বুদ্ধিমত্তা এবং সম্পদ অর্জন করে। সমাজে তাদের মর্যাদা ও অবস্থান বৃদ্ধি হয়, সেই সঙ্গে জীবনে শত্রুসংখ্যাও বেশি হয়।