ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। আজ সপ্তমী তিথি। আগামীকাল পড়েছে অষ্টমী শনিবার। রবিবার পড়েছে নবমী। এই নবমী তিথির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোয়। কৃষ্ণনগরে সাধারণত বেশিরভাগ পুজোতেই চার দিনের পুজো একদিনে হয়। আবার চন্দননগরের রীতি অনুযায়ী চার দিন আলাদা করে দেবীর আরাধনা হয়। বহু বাড়ির পুজোতেও মা জগদ্ধাত্রী একবারই পূজিতা হন।

এই জগদ্ধাত্রী পুজোয় অনেকেই দেবীকে বস্ত্র অর্পণ করে পুজো দেন। এই বস্ত্র নিয়েও রয়েছে কিছু টোটকা। জগদ্ধাত্রী পুজোর আবহে দেখে নিন কোন কোন টোটকায় জীবনে আসে। নানা সংকট, দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে রইল জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে টোটকা।

দেবীকে কোন রঙের বস্ত্র দেওয়া শুভ?

জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী ও নবমী তিথিতে বাড়িতে কিনে আনতে পারেন শাঁখ। এতে সংসারে মঙ্গল সাধন হয়। শাঁখকে শুভ বলে মনে করা হয়। এতে আর্থিক উন্নতি সংসারে আসে বলে মনে করা হয়। এছাড়াও যাঁরা জগদ্ধাত্রী পুজোয় বস্ত্র দিয়ে পুজো দিতে চান, তাঁরা বস্ত্রের রঙ লাল কিম্বা হলুদ বেছে নিন। এই রঙের বস্ত্র অর্পণ করে দেবীকে পুজো দেওয়া শুভ বলে পরামর্শ শাস্ত্রজ্ঞদের। এছাড়াও পুজোর অষ্টমী, নবমী তিথিত নিরামিষ ভোজনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নবমীতে পারলে কোনও ৫ বছরের কম বয়সী কন্যাকে উপহার দিতে পারেন কিছু। এছাড়াও নবমীর সন্ধ্যায় আমলকি গাছের নিচে প্রদীপ রেখে পুজো করতে পারেন। পাশাপাশি, জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমীকে সিঁদুর কৌটো পুজো করিয়ে নিতে পারেন। এই জগদ্ধাত্রী পুজোয় কোনও ব্যবসা শুরু করলেও পেতে পারেন শুভ ফল।

জগদ্ধাত্রী পুজোর নির্ঘণ্ট:-

পুজোর আজ সপ্তমী তিথি। রাতের চন্দননগর সাজবে আলোর রোশনাইতে। এদিকে, কৃষ্ণনগর জুড়ে সাজো সাজো রব। জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী তিথি পড়েছে ৮ নভেম্বর। শুক্রবার এই তিথি রয়েছে। অষ্টমী তিথি পড়েছে ৯ নভেম্বর, শনিবার। ১০ নভেম্বর পড়েছে নবমী তিথি। জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী তিথি ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকেই পড়ে যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here