উৎসবের রেশ কাটলেই বঙ্গে ধীরে ধীরে শীতের আগমন ঘটবে ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রাজ্যে শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে চলতি মাসের শুরু থেকে ৷ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমেই কমছে । পাল্লা দিয়ে ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা ৷ ভোরে এবং রাতের দিকে তাপমাত্রায় হালকা হিমের পরশ রয়েছে । সুতরাং, এবার ধীরে ধীরে শীতের প্রভাব পড়বে বঙ্গে ৷
দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে ?
হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গের একাধিক জেলার বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে ৷ তবে রবিবারের পর থেকে বঙ্গে বৃষ্টির আর কোনও প্রভাব নেই ৷ আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একটু উপরের দিকে থাকলেও, রবিবার অর্থাৎ 1 নভেম্বরের পর পারদ নামতে শুরু করবে । ইতিমধ্যে, পশ্চিমে জেলাগুলোর পারদ কিছুটা হলেও নামতে শুরু করেছে । আবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এখনও আকাশে মেঘ রয়েছে ৷ সেই মেঘ কেটে গেলেই নতুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোয় পারদ ক্রমশ নামতে শুরু করবে । হালকা হলেও হিমের পরশ পাওয়া যাবে ৷
বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস:
শুক্রবার বিক্ষিপ্তভাবে দুই চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর । উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ছাড়া উত্তর দিনাজপুরে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । শনিবার এবং রবিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ তবে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং-সহ উপরের পাঁচ জেলাতে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । তবে রাজ্যের শীতের আগমন এখনই হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ বরং, এই সময়ে কোনও ঘূর্ণাবর্ত সাগরে ঘনীভূত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা ।
কলকাতার আবহাওয়ার পূর্বাভাস:
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শুক্রবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে । সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে ৷ বৃহস্পতিবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.১ ডিগ্রি বেশি । সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৩ ডিগ্রি বেশি । বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৬৯ শতাংশ ৷