হাঁটা উপকারী— সে কথা বহু বার শুনেছেন। উপকারের দীর্ঘ ফিরিস্তি শুনে হাঁটাহাঁটি শুরুও করেছেন। কিন্তু প্রতি বারই মাঝ পথে থমকে গিয়েছে রুটিন। আবার এক মাস টানা হাঁটাহাঁটি করার পরও নিজের চেহারায় তেমন পরিবর্তন দেখতে পেলেন না। ফলে হতাশা এল। বিরক্তিতে হাঁটা ছেড়েই দিলেন।

এই নিয়ে আমেরিকার একটি পত্রিকা জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে গবেষকেরা বলছেন, প্রতি দিন যদি কেউ ৭০০০ থেকে ১০০০০ পা হাঁটতে পারেন, তবে তাঁদের অসুস্থতাজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি ৭২ শতাংশ কমে যায়। ছোটখাটো গবেষণা নয়, দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ২১১০ জনের স্বাস্থ্য এবং হাঁটার অভ্যাসের উপর নিয়মিত নজর রেখে ওই সিদ্ধান্তে উপনীত হন গবেষকেরা।

অনেকেই মনে করেন সকালে উঠে হাঁটাহাঁটি করলেই সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কেউ আবার মনে করেন, এক বারেই সারা দিনের প্রয়োজনীয় ৭০০০ পা হেঁটে ফেলবেন। এতে শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে শরীর এবং মন দুই-ই বেঁকে বসে। তাই সকালে উঠে একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাঁটলেই কাজ হবে এমন নয়। বরং সারা দিনের কাজের মাঝে যদি হাঁটাহাঁটি বা কায়িক কাজের পরিমাণ বাড়িয়ে নেওয়া যায় তা হলেও লক্ষ্য পূরণ হতে পারে।

ফোনে কথা বলার সময় হাঁটুন। লিফ্‌টে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করুন। কাজের মাঝেই অফিসের চারপাশটা হেঁটে নিতে পারেন বার কয়েক বা যে বাসস্টপ থেকে রোজ বাস ধরেন, তা না ধরে পরের স্টপেজ পর্যন্ত হেঁটে নিলেন। নিজের চা বা কফিটা অন্য কাউকে আনতে না বলে নিজে হেঁটে গিয়ে নিয়ে এলেও হাঁটা হবে। মোট কথা বসে না থেকে সচল থাকা। তাতেই অনেক উপকার পাওয়া যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here