
কৌশিক চক্রবর্তী
১ ডিসেম্বর, কলকাতা: আগামী ৯ ডিসেম্বর সিএবি-র লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ইউনাইটেড ক্লাব এবং পাইকপাড়ার। ম্যাচের জন্য নির্ধারিত ভেন্যু ডুমুরজলা ক্রিকেট গ্রাউন্ড। কিন্তু ডুমুরজলায় যেখানে খেলা হবে এই মাঠের পিচ এখনো প্রস্তুত নয়।
ম্যাচ ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু অথচ মাটি ফেলার কাজ শেষ হয়েছে ২৪ নভেম্বর। শুধু একটা পিচ নয় তৈরি হচ্ছে পাশাপাশি একের বেশি পিচ। মাটি ফেলা থেকে শুরু করে একটি পিচকে খেলার উপযোগী তৈরি করতে কম করে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে। সেই পরিস্থিতিতে ৯ ডিসেম্বর কী করে এই মাঠে খেলা দেওয়া হলো সেটাই বড় প্রশ্ন।
সিএবির কোথায়, কোন মাঠে, কখন কী খেলা হবে তার দায়িত্ব ট্যুর এন্ড ফিক্সচার কমিটির উপর। এই কমিটি পুরোটা ঠিক করে জানায় টুর্নামেন্ট কমিটিকে। এই দুটি কমিটি নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নয়। আর এই দুই কমিটির সঙ্গে লিয়াজ রেখে চলেন সিএবির যুগ্ম সচিব। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে গ্রাউন্ডস কমিটির’ও। ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার কমিটি’র প্রধান দীপ চ্যাটার্জি এবং গ্রাউন্ডস কমিটির’র চেয়ারম্যান অমিতাভ আড্ডি’র সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করেই কি এই মাঠে ম্যাচ দিয়েছিলেন? আর যদি আলোচনা করেই থাকেন তা হলে কেন সব জানা সত্ত্বেও এই মাঠে ম্যাচ দেওয়া হলো? টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ দে’র (বাপি) ভূমিকা কী? যুগ্ম সচিব মদন মোহন ঘোষ কি এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন? এই মদন ঘোষের কারণে বোর্ডের অনূর্ধ্ব ১৯ – এর ম্যাচে বিসিসিআই-এর কাছে ছোট হতে হয়েছিল সিএবি’কে।
ডুমুরজলা মাঠে ৯ ডিসেম্বর যে ম্যাচ আয়োজন করা যাবে না, তা বোঝার জন্য বড় ক্রিকেট বোদ্ধা হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু সব জেনেশুনেও মদন ঘোষের পর্যবেক্ষণে ট্যুর ফিক্সচার, গ্রাউন্ডস কমিটি এবং টুর্নামেন্ট কমিটি ম্যাচ দিয়েছিল। এখন সেই খেলাই অন্য মাঠে দিতে হচ্ছে। এই ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাই কোর্ট মাঠে। মদন ঘোষ ব্যতীত বাকি এই তিন কমিটির প্রধান কখনো ক্রিকেট খেলেছেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন! ফলে অ-ক্রিকেটীয় ব্যক্তিদের পদে বসিয়ে রেখে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সিএবিকেই।



