Jiযে কোনও দেশের লাইফলাইন বলা হয়। আমাদের দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করে। ট্রেনে সবচেয়ে সস্তায় দীর্ঘ পথও ভ্রমণ করা যায়। বেশিরভাগ মানুষই দীর্ঘ দূরত্বের জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করতে ভালবাসেন। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন আমাদের দেশে ট্রেন দুটি ট্র্যাকে চলে। কিন্তু আপনি কি কখনও এমন রেলপথ দেখেছেন যেখানে ২টি নয় ৩টি ট্র্যাক ব্যবহার করা হয়? ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেই ঘটে এমনটি।

রেলওয়ে ট্র্যাক গেজ অনুযায়ী তৈরি করা হয়। এই কারণেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্র্যাকের প্রস্থ পরিবর্তিত হয়। কোথাও রেলপথ কম চওড়া আবার কোথাও বেশি চওড়া। বাংলাদেশে ডুয়েল গেজ রেলপথ ব্যবহার করা হয়। এই ট্র্যাকটি তিনটি রেললাইন নিয়ে গঠিত। আগে এখানে শুধু মিটারগেজ ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে রেলপথ সম্প্রসারণের কারণে ভারতের মতো ব্রডগেজের প্রয়োজন দেখা দেয়। মিটারগেজকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা প্রচুর ব্যয়সাপেক্ষা ব্যাপার। এই কারণেই বাংলাদেশ রেলওয়ে কোনও মূল্যেই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা মিটারগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে চায়নি।

ডুয়েল রেলওয়ে ট্র্যাক এমনই একটি রেলপথ যা একই ট্র্যাকে দুটি ভিন্ন গেজ ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে সফল। রেলে কর্মরত লোকেরা একে মিক্সড গেজ বলতে পছন্দ করে। এই ট্র্যাকটি ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে দুটি গেজ রেল রয়েছে, তৃতীয়টি কমন গেজ। কমন রেল বিভিন্ন গেজের ট্রেনের জন্য উপযোগী। বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশ রয়েছে যারা এই ধরণের ডুয়েল গেজ ব্যবহার করে।

মাঝে মাঝে ৪টি রেল ট্র্যাকও ব্যবহার করা হয়। আমরা আপনাকে বলি যে কখনও কখনও দুটি বাইরের এবং দুটি ভিতরের মোট চারটি ট্র্যাকও ব্যবহার করা হয়, অর্থাৎ, কখনও কখনও ডুয়েল গেজ তৈরি করতে দুটি বাইরের এবং দুটি ভিতরের রেল ব্যবহার করে চারটি রেল ট্র্যাকের প্রয়োজন হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here