টিপু সুলতানকে বলা হয় মহীশূর শার্দূল। বিদেশী হানাদারদের হাত থেকে মহীশূরকে রক্ষা করার জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ করেছিলেন তা চিরস্মরণীয়। তিনি ১৭৮২ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত মহীশূর রাজ্যের শাসক ছিলেন।
টিপু সুলতানের জন্ম হায়দার আলী এবং ফাতিমা ফখর উন্নিসার ঘরে। তাঁরা তাঁদের সন্তানের নাম রেখেছিল ফতেহ আলি। কিন্তু প্রায়ই তাঁকে স্থানীয় সাধু টিপু মাস্তান আউলিয়ার নামে টিপু বলে ডাকতেন।
টিপু সুলতানের পুরো নাম ছিল সুলতান ফতেহ আলি খান।
তিনি খুব অল্প বয়সেই গুলিচালনা, ঘোড়ায় চড়া এবং তরবারি চালানো শিখেছিলেন। ১৫ বছর বয়সে মাত্র দুই তিন হাজার সৈন্য থাকা সামরিক বাহিনী নিয়ে মালাবার প্রধানের পরিবারকে বন্দি করতে সহায়তা করেছিল।
টিপুকে ভারতে রকেট প্রযুক্তির পথপ্রদর্শকের কৃতিত্ব দেওয়া হয়
টিপু সুলতান ফতহুল মুজাহিদীন নামে একটি সামরিক পাণ্ডুলিপি লিখেছিলেন। পাণ্ডুপিলিটি মহীশূর রকেটের কার্যকলাপ ব্যাখ্যা করে
টিপু সুলতানের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ বাহিনী যুদ্ধের ট্রফি হিসেবে তাঁর তলোয়ার ও আংটি কেড়ে নেয়।
সুলতান হিন্দু ধর্মকে ঘৃণা করতেন কিন্তু তাঁর আংটিটিতে “রাম” শব্দটি খোদাই করা ছিল
টিপু সুলতানের অবশিষ্টাংশ এবং জিনিসপত্র ২০০৪ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে, বিজয় মাল্য একটি নিলামে টিপু সুলতানের তলোয়ারটি কিনেছিলেন।
টিপু সুলতানকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি স্থানের আসল নাম ইসলামি নাম দিয়ে প্রতিস্থাপনের। তাঁর শাসনামলে ম্যাঙ্গালোরকে জালালাবাদ, মহীশূর থেকে নাজারাবাদ, বেপুর থেকে সুলতানপতনাম, কান্নানর থেকে কুসানাবাদ, গুটি থেকে ফয়েজ-হিসার, ধারওয়ার থেকে কোয়ার্শেদ-সোয়াদ, ডিন্ডিগুল থেকে খালিকাবাদ, রত্নাগিরি থেকে মুস্তাফাবাদ, কোঝিকোড় থেকে ইসলামাবাদ এবং দিনাগুলকে পরিবর্তন করা হয়।
টিপু সুলতান নেদুমকোত্তার যুদ্ধের সময় (১৭৮৯) ত্রিবাংকুরে নায়ারদের সাথে একটি যুদ্ধে তাঁর তলোয়ার হারিয়েছিলেন। ত্রিবাংকুরের সেনাবাহিনী এবং ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর তীব্র যৌথ আক্রমণের কারণে তিনি সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।
টিপু সুলতানের উদ্যানপালন ও বাগান করার নেশা ছিল
তিনি দ্বিতীয় ইংগো-মহীশূর যুদ্ধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিজয়ের স্বাদ উপভোগ করেছিলেন
সুলতান চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং হায়দ্রাবাদের নিজামের সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে শ্রীরঙ্গপত্তনমের দুর্গ রক্ষা করার সময় নিহত হন।