২০২৪’র এই অগ্রহায়ণ মাসে অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তিথি। এই সময়কালে নির্দিষ্ট ব্রহ্ম মুহূর্তে স্নান ও দানের রীতি রয়েছে। এছাড়াও কথিত রয়েছে এই মাসটি শ্রীবিষ্ণুর প্রিয় মাস। তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য এই মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর কবে মার্গশীর্ষ অমাবস্যা তিথি পড়ছে, দেখে নিন। মার্গশীর্ষ অমাবস্যার মাহাত্ম্য ও তিথি দেখে নিন।
অগ্রহায়ণের অমাবস্যা কবে?
চলতি বছরে ৩০ নভেম্বর পড়ছে অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা। শনিবার পড়ছে অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যা। ৩০ নভেম্বর সকাল ১০ টা ২৯ মিনিটে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে। ১ ডিসেম্বর সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে শেষ হবে অমাবস্যা। উদয়া তিথি অনুযায়ী রবিবার ১ ডিসেম্বর পালিত হবে অমাবস্যা। পূর্ব পুরুষদের শান্তি কামনার্থে এই অমাবস্যা তিথিতে অনেকেই বিশেষ পূজার্চনা ও তর্পণ করে থাকেন। বছরের শেষ এই অমাবস্যা মূলত শনিশ্চরী অমাবস্যা।
ব্রহ্ম মুহূর্ত:-
পঞ্জিকা অনুসারে মার্গশীর্ষ মাসের অমাবস্যার ব্রহ্মুমুহূর্ত ভোর ৫.০৮ মিনিট থেকে ভোর ৬.০২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।
গঙ্গা স্নানের সময়:-
অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় গঙ্গাস্নানের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। উদয়া তিথি অনুসারে যেহেতু ১ ডিসেম্বর পড়ছে অমাবস্যা, তাই সেই দিন সকালে গঙ্গাস্নান শুভ।
শুভ যোগ:-
এই অমাবস্যায় সুকর্ম যোগ পড়ছে। এই সময় স্নান,দান পূজার্চনার জন্য ভাল সময়। এই দিনের অমাবস্যায় রয়েছে শনিদেবের পুজো। ফলে এই অমাবস্যা তিথির মাহাত্ম্যই আলাদা। এই অমাবস্যা তিথিতে স্নান ও দান করলে, শনিদেবের দশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অমাবস্যার টোটকা:
পিতৃপুরুষকে তুষ্ট করার জন্য এই অমাবস্যা তিথিতে সরষের তেল দিয়ে অশ্বত্থ গাছের নিচে রাখতে পারেন প্রদীপ। এছাড়াও যেহেতু এই তিথি শনিবার পড়েছে, তাই সেই দিন শনিদেবের প্রিয় বস্তু যেমন কালো তিল, কালো বিউলির ডাল, কালো ছাতা দান করতে পারেন। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃস্তোত্র ও পিতৃকবচ পাঠ করুন। এতে পিতৃদোষ থেকে পাবেন মুক্তি। এই দিনে গো সেবা করলেও পাবেন পূণ্য। বলা হয়, গরুকে গুড় ও রুটি খাওয়ালে পূর্ব পুরুষদের পাশাপাশি দেবদেবীও প্রসন্ন হন।