সমস্ত শুভকাজ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তেল বা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করা হয়। বলা হয় প্রদীপের আলোর মধ্যে ঈশ্বর বিরাজমান থাকেন। আরতি করার সময় প্রদীপ জ্বালালে ভগবান সকল দুঃখ দূর করেন।
প্রদীপ আপনাকে ভাগ্যশালী করে তুলতে পারে। প্রদীপ জ্বালালে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে। সুখ ও শান্তির আবাস হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রদীপ সম্পর্কিত কোন কোন প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে।
শনির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন
রাহু-কেতুর প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে সকাল-সন্ধ্যা তিসির তেলের প্রদীপ জ্বালান। এটি করলে, আপনি রাহু-কেতুর কুণ্ডলীতে উপস্থিত রাহু-কেতু দোষ থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়াও, শনিবার শনি মন্দিরে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালালে শনির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভয় পেলে
কোথাও যাওয়ার সময় যদি আপনার মন বিক্ষিপ্ত হয় বা কোনও অজানা ভয় সবসময় যদি আপনাকে গ্রাস করে থাকে, তাহলে সোম ও শনিবার ভৈরব মন্দিরে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এই সমাধানের মাধ্যমে সমস্ত ভয় দূর হবে। এমনকি আপনার শত্রুদের কৌশলও আপনার জীবন নষ্ট করতে পারবে না। ভৈরবের কৃপায়, আপনার চারপাশে সর্বদা সুরক্ষার বৃত্ত থাকবে।
সম্মান বাড়বে
যারা সমাজে নিজের পরিচয় তৈরি করতে চান তাদেরও প্রতিদিন একটি করে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। সম্মান বৃদ্ধির জন্য শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে প্রতিদিন সকালে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করতে হবে এবং ঘিয়ের প্রদীপ দিয়ে আরতি করতে হবে। এতে সমাজে সম্মান বৃদ্ধি পাবে। সূর্যদেব আপনার আটকে থাকা কাজে গতি দেবেন।
সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য এই ব্যবস্থাগুলি প্রয়োজনীয়
প্রতিদিন বাল গোপালের সামনে এবং বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুর সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ মন্ত্রটিও ১০৮ বার জপ করতে হবে। এটি করলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে এবং সুখ-শান্তি বৃদ্ধি পায়।
আয়ের বাধা দূর হবে
দেবী লক্ষ্মীর সামনে সপ্তমুখী প্রদীপ জ্বালালে আর্থিক সমস্যা দূর হয়। এতে সকল রকমের অর্থ সমস্যার সমাধান হবে, আটকে থাকা টাকাও সহজেই পাওয়া যায়। মা সরস্বতীর সামনে দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হয়।
টাকা ও শস্যের অভাব হবে না কখনও
বুধবার গণেশের সামনে ত্রিমুখী ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান, দূর্বা ঘাস নিবেদন করুন। এতে গৃহে অর্থ ও শস্যের কোনও অভাব হয় না। পাশাপাশি আয় বৃদ্ধি এবং সম্পদের জন্য নতুন উপায় খোঁজার জন্যও কার্যকর প্রমাণিত হয়।