সকালে অফিস যাওয়ার তাড়ায় কী বানাবেন বুঝতেই পারেন না অনেকে। তবে গরম গরম চিজ় টোস্ট সব সময়ই ভাল লাগে খেতে সে বাচ্চা হোক কী বড়। পাউরুটিতে কামড় বসালেই চিজ়, হার্বস, চিলি ফ্লেক্সের সম্মিলিত স্বাদ মনে হয় তুলনাহীন। তবে একঘেয়ে চিজ় টোস্ট না খেয়ে, তাতেও খানিক ‘টুইস্ট’ আনতে পারেন। ভারতীয় মশলার ছোঁয়া, কখনও আবার ডিম দিয়ে বদলে ফেলতে পারেন স্বাদ।

চিলি গার্লিক চিজ় টোস্ট

চিজ় টোস্টে চিলি ফ্লেক্স এবং রসুন যোগ করলেই বেড়ে যাবে স্বাদ। প্রথমে পাউরুটি মাখন দিয়ে উল্টেপাল্টে সেঁকে নিন। একটি পাত্রে মোজ়ারেলা বা অন্য কোনও পছন্দের চিজ়, চিলি ফ্লেক্স, রসুন কুচি, স্বাদমতো নুন-গোলমরিচ মিশিয়ে পাউরুটির উপর মাখিয়ে নিন। কড়ায় পাউরুটি দিয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। মিনিট ২-৩ বাদে চিজ় গলে গেলে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যাবে চিলি গার্লিক চিজ় টোস্ট।

মশালা চিজ় টোস্ট

কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেঁয়াজ, লঙ্কাকুচি, আলুসেদ্ধ, স্বাদমতো নুন, সামান্য হলুদ, ধনে, জিরেগুঁড়ো দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। পাউরুটির একটি দিকে প্রথমে সেঁকে নিন। তার উপর মশলার মিশ্রণটি দিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন গ্রেট করা চিজ়। এবার কড়ায় মাখন গরম হতে দিন। পুর এবং চিজ় দেওয়া পাউরুটি তার মধ্যে রাখুন। পাউরুটির যে দিকটি সেঁকা হয়নি সেই দিকটি নীচে থাকবে। কড়ার ঢাকনা দিয়ে আঁচ কমিয়ে মিনিট ৩-৪ রাখলেই পা‌উরুটিও সেঁকা হয়ে যাবে, উপর থেকে ভাপে গলে যাবে চিজ়।

এগ চিজ় টোস্ট

একটি পাউরুটি নিয়ে তার মাঝের অংশে ছোট বাটি বসিয়ে হালকা চাপ দিন। একটি জায়গাটি হালকা বসে গিয়ে বাটির মতো হবে। কড়ায় মাখন গরম করে তার মধ্যে পাউরুটিটি দিয়ে দিন। বাটির মতো অংশটিতে ডিম ফাটিয়ে দিন, ঠিক যে ভাবে পোচ করার জন্য কুসুম-সহ ডিম দেওয়া হয়। উপর থেকে চিজ় গ্রেট করে দিন। দিয়ে দিন সামান্য অরিগ্যানো, চিলি ফ্লেক্স এবং গোলমরিচ। কড়া ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে মিনিট পাঁচেক রাখলেই ডিম রান্না হয়ে যাবে, চিজ়ও গলে যাবে। তৈরি হয়ে যাবে এগ চিজ় টোস্ট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here