কোনও মানুষের জীবনই নিষ্কন্টক নয়। জীবনে সুখ-দুঃখের জোয়ার ভাটা লেগেই থাকে। নানা বাধাবিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয় লক্ষ্যের দিকে। অনেক সময় হতাশ লাগে, কান্নায় বুজে আসে গলা তবুও মন শক্ত করে এগিয়ে যেতে হয়। চলাই তো জীবন। আর জীবনে চলার জন্য বেশ কিছু বার্তা দিয়ে গিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। ভগবান কৃষ্ণের সেই বাণীগুলিকে চলার পথের পাথেয় করলে রাস্তা সুমসৃণ হয়তো হবে না তবে চলতে অনেক সুবিধা হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখে নিন সেই অমৃতবাণীগুলি-
• যে ব্যক্তি রাগ বা সন্দেহ পোষণ করে, সে কখনও সুখ শান্তি পায় না। সে নিজেকে তিলে তিলে ধ্বংস করছে।
• আসক্তি অনেক সময় ব্যর্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আসক্তি পূরণ না হলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। যা তাঁর শেষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
• আপনার অধিকার কেবলমাত্র কর্মের উপর। যেমন কর্ম হবে, ফলও তেমনই হবে। জীবনও সেই পথেই বাহিত হবে।
• ক্রোধ থেকে জন্ম হয় প্রতিহিংসার। আর ধর্ম মানুষকে ন্যায়ের পথে চলতে শেখায়।
• যে শুধু নিজের দেহকেই সবকিছু ভাবে, সে আদির গন্ধকেই নিজের অনুভব হিসেবে মেনে নেয়।
• তুমি পৃথিবীর মানুষগুলোকে গণ্য করছ, তাঁরা তেমন নয়। কিছু সময়ের জন্য একটি শরীরে বসবাস করছে মাত্র। শরীরের মৃত্যু হবে। আত্মা অমর থাকবে।
• মন্দিরে থাকা ভক্ত বলে দান করা উচিত। আর চোর ওই মন্দিরে দাঁড়িয়ে বলে গয়না চুরি করা উচিত সুযোগ পেলেই। ধার্মিক হৃদয় ধার্মিক উপদেশ দিয়ে থাকে আর অধর্ম-ভরা হৃদয় অর্ধামিক পরামর্শ দেয়। তাই উপদেশ, পরামর্শ সবই বুঝে গ্রহণ করা উচিত।
• ভবিষ্যত্ বলে কিছু নেই। বর্তমানের উপরই দাঁড়িয়ে সবটা। আজকের নির্ণয় ও কর্মের পরিমাণ হবে আগামী।
• ভয় কী? এটি হল কোনও লালসা শেষ হয়ে যাওয়ার অগ্রিম অনুভূতি। সম্পত্তি শেষ হওয়ার ভয়, মৃত্যু ভয়। কাছের মানুষের থেকে বিচ্ছেদের ভয়। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনওরূপ সম্পর্ক নেই। এটি শুধুমাত্রই কল্পনা। যা আগামীতে এটা-ওটা হতে পারে ভেবে বর্তমানকে দুঃখী করে দেয়। ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া কোনও কঠিন কাজ নয়।
• জীবনে একাধিক সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অন্য ব্যক্তির পরামর্শ নিতে হয়। এক কথায় অন্যের উপদেশকে আধার করেই আমরা ভবিষ্যত্ তৈরি করে থাকি। বর্তমান ভবিশ্যতে গিয়ে আধার সৃষ্টি করে। তবে পুরো জীবনটাই যেন অন্যের সিদ্ধান্তে না অতিবাহিত হয়ে যায়।