বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জনগণকে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন বনধ পালন না করেন। বরং জনজীবন যেন স্বাভাবিক রাখেন।

এমনকি, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি নবান্নের নির্দেশ, ‘‘দফতরে নিয়মমাফিক হাজিরা দেবেন।’’ সমস্ত দোকান-বাজার খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, এর জন্য কোনও রকম ক্ষতি যদি হয়, তবে সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে খোদ সরকার।

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের পরেই বিজেপির তরফে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়। সেই ঘোষণার পরেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরজি করের ঘটনা এবং তৎপরবর্তী আন্দোলনের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘‘তদন্ত চাওয়ার এবং সুবিচার চাওয়ার দায়িত্ব ও অধিকার আমাদের সকলেরই আছে। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) মহানগরকে এবং তার পর কাল (বুধবার ) বাংলাকে স্তব্ধ করার যে প্রয়াস হল এবং হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসমর্থনীয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, পরীক্ষা আছে এবং চলছে। শারদোৎসবের বেচাকেনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ী, কর্মজীবী, পেশাজীবী, বৃত্তিজীবী বৃহৎ সংখ্যক মানুষের ভবিষ্যৎ এতে বিপন্ন হচ্ছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-সহ সমস্ত আপৎকালীন পরিষেবা বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে আগামী কালের প্রস্তাবিত বন্‌ধকে মেনে নেওয়া হবে না। সকলের কাছে অনুরোধ এই বন্‌‌ধে অংশ নেবেন না।’’ এ ব্যাপারে সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকারের বিশেষ নির্দেশও ঘোষণা করে আলাপন বলেন, ‘‘অফিস-কাছারিতে অবশ্যই স্বাভাবিক ভাবে আসবেন।’’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here