ছুটি পেলেই যেন বাড়িতে মন বসতে চায় না। কাজের চাপে পরিবারকে সময় দেওয়াই যায়না। টাই সামনেই আসছে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। এই দিন ঘরে না থেকে ঘুরে আসুন কলকাতার কাজের এই স্থান থেকে।
দিঘা-পুরী ঘুরে বোর হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে আসুন এমন একটি লোকেশনে যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে বিরল এক শক্তিপীঠের দর্শনও হয়ে যাবে।
ওড়িশার জনপ্রিয়তা কেবল পুরীকে কেন্দ্র করেই। কিন্তু পশ্চিমবাংলার এই প্রতিবেশী রাজ্যে যে অসংখ্য সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে তা অনেকেই জানেন না। এই পুরীরে রয়েছে এক শক্তিপীঠও। বাংলায় সাধারণত শক্তিপীঠের আধিক্য বেশি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্যের এই শক্তিপীঠ অনেকেই দেখেননি। জায়গাটির তারা তারিনী মন্দির নামেই পরিচিত। ওড়িশার কেওনঝড় জেলার মধ্যে পড়ে এই শক্তিপীঠ। কেওনঝড়ের ঘাটগাঁও নামে এক অপিরিচিত জায়গায় রয়েছে তারা-তারিণী মন্দির। যেখানে যমজ দেবীর পুজো হয়। তন্ত্রশাস্ত্র অনুসারে এটি ভারতের চারটি প্রধান শক্তিপীঠের মধ্যে একটি।
নতুন করে এখানে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত এই দুই দেবী মন্দির। এখানে সারাবছরই ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। মহানদীর শাখা নদী রুশিকুল্যা নদীর কাছে একটি পাহাড়ের উপরে রয়েছে মন্দিরটি। পাহাড়টির উচ্চতা ৭০০ ফুট। তার উপরে দেবী মন্দিরে পৌঁছতে ৯৯৯টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে কথিত আছে এই স্থানে দেবী সতীর স্তন পড়েছিল। ওড়িশার রুশিকুল্যা নদীর পাড়ে কুমারী পাহাড়ে দেবীর আদ্যাশক্তির অবস্থান। মন্দিরের ভেতরে দুটি পাথরে দেবী হিসেবে সাজানো হয়েছে। এখানে সারাবছরই ভক্তরা আসতে পারেন। তবে চৈত্র মাসে সংক্রান্তিতে সবচেয়ে বড় মেলা বসে এখানে। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দিরের দরজা। তন্ত্রসাধনার জন্য এই মন্দিরকে বিশেষ মান্যতা দেওয়া হয়ে থাকে। এখানে আসতে হলে ওড়িশার ব্রহ্মপুর হয়ে আসতে হবে ব্রহ্মপুর থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই মন্দির।