সবাই চায় সুস্থ ও ভাল থাকতে। তবে তার জন্য নিয়মিত ফল, শাক-সব্জি ও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। কিন্তু এসব করা সত্ত্বেও কি আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাচ্ছে? তা হলে নিশ্চয়ই আপনি রোজকার খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখছেন, সেগুলি এই সমস্যার কারণ। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার বয়স না চাইতেই বাড়িয়ে দিচ্ছে, জেনে নিন সেগুলি কী কী।

ঝাল-মশলাদার খাবার: রান্নায় বেশি করে ঝাল ও মশলা না দিলে অনেকের আবার খাবার মুখে ওঠে না। মশলাদার খাবার কিন্তু রক্তনালিগুলিকে ফুলিয়ে দেয়। অত্যধিক ঝাল খেলে রক্তনালিগুলি ছিঁড়েও যায়। এই কারণে ত্বকে বেগনি রঙের ছোপ পড়তে শুরু করে। ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের ত্বকে রক্তনালিগুলি ফুটে উঠতে দেখা যায়। বেশি ঝাল খেলে এই উপসর্গগুলি আগে থেকেই শরীরে দেখা দিতে শুরু করে।

সোডা, নরম পানীয় ও এনার্জি ড্রিঙ্ক: এই প্রকার পানীয় আপনি যত বেশি খাবেন, আপনার টিস্যুতে কোষের বয়স ততই দ্রুত হারে বাড়তে থাকবে। এই প্রকার পানীয়ে ক্যালোরি ও চিনি উচ্চ মাত্রায় থাকে। এই প্রকার পানীয় মুখের ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মিলে গিয়ে এক প্রকার অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে। এ ছাড়াও ওজন বৃদ্ধি এবং স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার উচ্চ ঝুঁকিও বাড়ায় এই পানীয়গুলি।

মদ্যপান: এই অভ্যাস কেবল লিভারের পক্ষে খারাপ নয়। এই অভ্যাসের কারণে ত্বকেরও ক্ষতি হয়। মদ্যপান করলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। নিয়মিত মদ্যপান ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস: দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বেকন, সসেজ, হ্যামে অত্যধিক মাত্রায় নুন ও রাসায়নিক মেশানো থাকে। এগুলি বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবিটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়, এই সব খাবার ডায়েটে বেশি রাখলে।

গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার: গ্লুটেন এক ধরনের প্রোটিন, যেটা মূলত গম, রাই, বার্লিতে থাকে। এক ধরনের আঠালো পদার্থ থাকে এই সব খাবারে, যা খাবারটিকে বেক করার সময়ে ফেঁপে উঠতে সাহায্য করে। রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপ্‌স, সস, বিয়ারে গ্লুটেন থাকে। গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার আপনার বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত খেলে গালে, কপালে ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। গ্লুটেন অ্যালার্জির ফলে ত্বকে র‌্যাশও হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here