বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালত ধৃত সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টার শুনানির পরে সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম ধৃত সন্ন্যাসীর জামিনের আবেদন খারিজ করেন।
চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণকে গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করেছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। সেখানে আইনজীবী আলিফকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হিন্দু বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ১১ জন হিন্দু বিক্ষোভকারীকে সরাসরি খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম পুলিশ।
গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে শুনানি থাকলেও জামাত-সহ কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলির হুমকির জেরে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী এজলাসে হাজির হতে পারেননি বলে অভিযোগ। ১২ ডিসেম্বরও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল।
গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা ফিরোজ খান স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় চিন্ময়কৃষ্ণ-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন করেন। পরে ফিরোজকে বিএনপি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। এই মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চিন্ময়কৃষ্ণের প্রথম আইনজীবী আইনজীবী শুভাশিস শর্মা গ্রেফতারি এড়াতে আত্মগোপন করেছেন আগেই। দ্বিতীয় আইনজীবী রবীন্দ্র দাস বুকে ব্যথা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর একটি দল চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে জামিনের সওয়াল করতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে জামাতপন্থী আইনজীবীরা চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন না-দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন।