বৈচিত্রময় ভারতবর্রষে রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহ্য আর অলৌকিকতার মিশেল। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর- এই তত্ত্বে বিশ্বাস করে মানুষ আজও। ভক্তের ভক্তিতে সাড়া দেন নাকি ঈশ্বর, এই বিশ্বাসে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলা সদর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অহিল্যাপুর দেবী মন্দিরে মানুষ আসেন প্রতিদিন। বিশ্বাস করা হয় যে মা সবার মনস্কামনা পূরণ করেন।
অহিল্যাপুর দুর্গা মন্দিরের ইতিহাস অনেক পুরোনো এবং আকর্ষণীয়। কথিত আছে, আদিশক্তি মা দুর্গার সামনে ব্রিটিশ সরকারকেও মাথা নত করতে হয়েছিল। আসলে ব্রিটিশ শাসনের তত্ত্বাবধানে গোরক্ষপুর থেকে ছাপড়া পর্যন্ত রেললাইন বসানো হচ্ছিল। আজ যেখানে মন্দির সেখান দিয়ে রেললাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই মতো কাজও শুরু হয়। কিন্তু দেখ যায়, দিনের বেলায় রেললাইন বিছানো হলেও পরদিন সকালে ট্র্যাকটি উপড়ে পড়ে রয়েছে। এই ধারাবাহিকতা চলে বেশ কয়েকদিন।
ব্রিটিশ অফিসারদের সন্দেহ হয়েছিল যে স্থানীয় লোকেরা এই কাজ করছে, তাই তারা রাতের রেললাইনের কাজ করানোর মনস্থির করেন। শোনা যায়, স্বপ্নে মধ্যরাতে এক ব্রিটিশ অফিসারকে দেবী স্বপ্ন দেখান। তাতে ওই আধিকারিক পর্যন্ত হতবাক হয়ে যান। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তিনি বিষয়টি জানান, পরে ১০০ মিটারেরও বেশি দূরত্ব দিয়ে ট্র্যাকটি স্থাপন করা হয়। ব্রিটিশ অফিসাররা মায়ের শক্তিপীঠের সংস্কারের কাজও করিয়েছিলেন।