সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক পরিমাণে সঠিক খাবার খেলে স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকে, তেমনি অনেক রোগ প্রতিরোধও হয়। শাকসবজি, ফলেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। সুস্থ থাকার জন্য প্রায়ই সবুজ শাকসবজি এবং ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ বিশেষ রোগেও চিকিৎসকরা খাদ্যতালিকায় শাক-সবজি বা ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন। এসব পুষ্টিকর ফলের মধ্যে রয়েছে পেঁপে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপে খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদিও পেঁপে অনেক সময় ক্ষতিকরও হতে পারে। আপনিও যদি প্রতিদিন পেঁপে খান, তাহলে জেনে নিন পেঁপে আপনার জন্য কতটা উপকারী ও ক্ষতিকর।
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, এর পাশাপাশি ভিটামিন সিও পাওয়া যায়। অন্যদিকে পানি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট উপাদান, ক্ষারীয় উপাদান, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, চিনি ইত্যাদির অধিকাংশই পেঁপেতে পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যারোটিন এবং মিনারেল পাওয়া যায়।
পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
• পেঁপে সেবন হৃদরোগ প্রতিরোধ করে
• পেঁপের বীজ ব্যবহার করলে হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়।
• পেঁপেতে পাওয়া ঔষধি গুণ চোখের সুরক্ষায় উপকারী।
• বাতের রোগীদের পেঁপে খাওয়া উচিত, তার জন্য পেঁপে উপকারী।
• পেঁপে ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে উপকারী।
• চুল মজবুত ও ঘন করতে পেঁপে পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
• বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁপের বীজ ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী।
• ওজন বেশি হলে স্থূলতা কমাতে পেঁপে ব্যবহার করতে পারেন।
• কাঁচা পেঁপে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
• পেঁপে খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও উপকারী।
পেঁপে খাওয়ার অপকারিতা
• গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। পেঁপেতে ল্যাটেক্স পাওয়া গেলে তা জরায়ুতে সংকোচন ঘটাতে পারে। যার কারণে গর্ভপাত, প্রসব ব্যথা, শিশুর অস্বাভাবিকতা হতে পারে।
• স্তন্যদানকারী মায়েদের পেঁপে খাওয়া এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
• বেশি পরিমাণে পেঁপে খেলে জন্ডিসের সমস্যা বাড়ে।
• অত্যধিক পেঁপে সেবনের ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে।
• বেশি পেঁপে খাওয়ার কারণেও কিডনিতে পাথরের সমস্যা হতে পারে।
• এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।