শীতের সময় আমাদের প্রত্যেকেই একটু কম জল খেয়ে থাকি। যার কারণে শরীরে নানা রকমের সমস্যা হয়। বিশেষত যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে কিংবা পাইলসের সমস্যা রয়েছে তারা একদমই শীতকালে জল কম খাবেন না। এতেই সমস্যা কিন্তু ক্রমশও বাড়তে পারে।
তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া অনিয়মের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। যদি আপনি পাইলস কিংবা কোষ্ঠকাঠিনের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শীতকালে এই ফলটি খাবেন। এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যাগুলি দূর হবে।
পাইলসের রোগীরা খেতে পারেন
পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। এতে প্রচুর গুণ রয়েছে। এটি কমাতে সাহায্য করে এই ফল। এমনকি পাইলসের রোগীরাও এটি খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে খেলে কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। খাবার ভালভাবে হজম করতে পারবেন আপনি।
কীভাবে খাবেন
ফাইবার সমৃদ্ধ পেয়ারা খেলে পাইলসের যেকোনও সমস্যা কমবে। তবে অবশ্যই একটি পাকা পেয়ারা খাওয়ার চেষ্টা করুন। নুন মাখিয়ে খেতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদও বেড়ে যায়। খাবার ভালো হজম হবে পেট পরিষ্কার হবে। কাঁচা পেয়ারা থেকে পাকা পেয়ারা খাওয়ার বেশি ভাল। কারণ এতে ফাইবার প্রচুর পরিমাণে থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে, হার্ট ভাল রাখে
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি আপেলের থেকে একটি পেয়ারার গুণ বেশি। এতে কিন্তু অনেক বেশি পটাশিয়াম থাকে। পেয়ারা শীতকালে খুব উপকারী একটি ফল। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ছাড়াও থাকে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে, হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক ভাল থাকে
যদি আপনি মস্তিষ্ক ভাল রাখতে চান তাহলে আপনি নিত্যদিন পেয়ারা খেতে পারেন। কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি খেলে আপনার মানসিক চাপ খুব কমবে, মস্তিষ্ক ভাল রাখতে সাহায্য করে একটি পেয়ারা।
ক্যালোরি কম থাকে
পেয়ারাতে ক্যালোরি কম থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও কিন্তু নিত্যদিন পেয়ারা খেতে পারেন। যদি আপনি অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এটি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।