প্রতিবছর দশমীর দিন কৈলাসে পাড়ি দেন দেবী দুর্গা। কেন এমন রীতি তা জানেন? এর বেশ কিছু পৌরাণিক ব্যাখ্যা রয়েছে।
পুরাণ বলছে মহিষাসুরের সঙ্গে নয় দিন নয় রাত ধরে ক্রমাগত যুদ্ধ করার পর দশম দিনে জয় লাভ করেন দেবী দুর্গা। সেই জয়কেই চিহ্নিত করে বিজয়া দশমী। তবে নবরাত্রির যে দশেরা তার আবার কাহিনী ভিন্ন। সেখানে আসে রামায়ণ। উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দশেরা উদযাপিত হয় রাম রাবনের যুদ্ধ নিয়ে। বলা হয় এই দশেরার দিনই রামচন্দ্র রাবনকে বধ করেছিলেন।
কালিদাস আবার এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রঘুবংশ ও তুলসিদাসের রামচরিতমানসে বলা হয়েছে যে আশ্বিনের তিরিশতম দিনে লঙ্কা জয় করে সস্ত্রীক অযোধ্যায় ফিরেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র। সেদিনটিই দশেরা ও দীপাবলি রূপে পালিত হয়।
দশমীতে সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য সিঁদুরখেলা। এই দিনে মা চলে যায়। ঘরের মেয়েকে এক বছরের জন্য বিদায় জানাতে চলে বরণ, সিঁদুরখেলা। আলিঙ্গন করেন একে অপরকে। চলে দেদার মিষ্টিমুখ। বিশ্ব সংসারে যেন ঐক্যের বার্তা দেয় বিজয়া দশমী।
দশমী দিনের অন্যতম বড় আচার অপরাজিতা পূজা। দেবী দুর্গার এক নাম অপরাজিতা। তবে অপরাজিতা দেবী চতুর্ভূজা। তাঁর হাতে রয়েছে শঙ্খ, চক্র, বর ও অভয়মুদ্রা। তিনি ত্রিনয়নী, দেবী নীলবর্না, মাথায় চাঁদ। দশমীর দিনই হয় এই পুজো।