কুঁচকে যাওয়া চামড়া আর পাকা চুল ইঙ্গিত দেয় বয়স বাড়ছে। বর্তমান সময়ের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাজারচলতি প্রসাধনীর অত্যধিক ব্যবহার, সঠিক ভাবে ত্বকের পরিচর্যা না করা— এই কারণগুলির জন্য কম বয়সেই বলিরেখা দেখা দিচ্ছে। এদিকে পাকা চুলে রঙ করা গেলেও টান টান চামড়া পাওয়া তো সহজ নয়। তাই ব্যবস্থা নিন আগে থেকেই। এ ছাড়াও এর নেপথ্যে আরও একটি কারণ থাকতে পারে। সেটি হল বালিশ।
যাঁরা বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোন, তাঁদের ত্বকে বেশি মাত্রায় বলিরেখা পড়তে পারে। বালিশে মুখ গুঁজে শুলে, মুখের সে দিকে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। সেই চাপেই মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। যাঁরা মুখের কোনও একটি বিশেষ দিক বেশি পরিমাণে বালিশে রেখে ঘুমোন, সেই দিকে বয়সের ছাপ বেশি পড়তে থাকে, কমতে থাকে ঔজ্জ্বল্য। অন্য দিকের জেল্লা তুলনায় বেশি থাকে। এ ছাড়া আরও একটি কারণ আছে। বালিশে মুখ গুঁজে শুলে বা পাশ ফিরে শোয়ার সময়ে মুখের যে অংশটি বালিশের সংস্পর্শে থাকে, সেই অংশ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে পারে। বালিশে থাকা ব্যাক্টেরিয়া মুখের ওই অংশে বাসা বাঁধতে থাকে। এটিও মুখের ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে দেয়।
চিত হয়ে শোয়া কিন্তু ঘুমোনোর সবচেয়ে ভাল ভঙ্গি। বালিশ নিয়ে শুতে হলে এই ভঙ্গিতে শুলেই সবচেয়ে ভাল। এই ভঙ্গিতে শুলে ত্বকের সব গ্রন্থি ভাল মতো অক্সিজেন পায়। রক্তসঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। এই ভাবে ঘুমোলে ত্বকে দাগছোপ পড়ে না। বালিশের তেল বা অন্যান্য ময়লাও ত্বকে লাগে না। ত্বকে চুলকানির ঝুঁকিও কম হয়। ফলে ত্বকের যত্ন নিতে হলে বালিশ নিয়ে শুতে হবে বুঝেশুনে।
এ ছাড়া বলিরেখা ঠেকিয়ে রাখতে রাতে ত্বক পরিচর্যা করা জরুরি। রাতে ঘুমোনোর আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর টোনার মাখুন। টোনার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে টোনারের পর মাখতে হবে ময়েশ্চারাইজার। ত্বকের ধরন বুঝে ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার মাখুন।