আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে একজন মানুষ কীভাবে একইসঙ্গে ডাক্তার, আইপিএস, আইএএস, আইনজীবী, এমবিএ, এমএলএ, পিএইচডি, অভিনেতা, চিত্রকর এবং ফটোগ্রাফার হতে পারেন! হতে যে পারেন তার প্রমাণ শ্রীকান্ত জিচকার! ডঃ শ্রীকান্ত জিচকার ১৯৫৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতার সাত বছর পর মহারাষ্ট্রের নাগপুর জেলার কাটোলের কাছে আজগাঁওতে একটি ধনী মারাঠা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

ডঃ শ্রীকান্ত জিচকার সকলের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম। তিনি ২০টিরও বেশি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তখনই মোবাইল , ইন্টারনেট বা এমনকি কম্পিউটারের শিক্ষাতেও শেখার ক্ষেত্রে কোনও সহায়ক ভূমিকা ছিল না। শ্রীকান্ত জিচকারকে “ভারতের যোগ্যতম ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে বিধানসভার সদস্য হন এবং সফলভাবে নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন।

শ্রীকান্ত জিচকারের নাম অত্যন্ত গৌরবের সঙ্গে লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে ভারতের যোগ্যতম ব্যক্তি হিসাবে নাম নথিভূক্ত করা হয়েছে। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪২টি পরীক্ষা দেন, যার মধ্যে তিনি ২০টিতে পাস করেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

ডিগ্রি অর্জন

1. ১. মেডিকেল ডাক্তার, (MBBS এবং MD)

2. ২. আইন, LL.B.

3. ৩. আন্তর্জাতিক আইন, LL.M. (আন্তর্জাতিক আইন)

4. ৪. বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএম এবং এমবিএ

৫. সাংবাদিকতায় স্নাতক

৬. পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর

৭. M.A. সমাজবিজ্ঞান

৮. M.A. অর্থনীতি

৯. M.A. সংস্কৃত

১০. M.A. ইতিহাস

১১. M.A. ইংরেজি সাহিত্য

12. M.A. দর্শন

১৩. M.A. রাষ্ট্রবিজ্ঞান

১৪. M.A. প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্ব

১৫. M.A. মনোবিজ্ঞান

১৬. ডি.লিট. সংস্কৃত – বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি

১৭. আইপিএস – ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা

১৮. IAS – ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা

অত্যন্ত কম সময়ে শ্রীকান্ত জিচকার এতগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন এবং সব পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়েছেন। ডাঃ জিচকারের একটি ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল যেখানে ৫২,০০০ বই ছিল। শ্রীকান্ত ১৯৮০ সালে বিধায়ক হন এবং বিধানসভায় তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ডাঃ জিচকারের বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর যখন তিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভার আইনসভার সদস্য (এমএলএ) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হয়েছিলেন।

শ্রীকান্ত জিচকার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় একজন সফল মন্ত্রীও ছিলেন এবং এক পর্যায়ে তাঁর অধীনে ১৪টি পোর্টফোলিও পরিচালনা করেছিলেন। তিনি ভারতের উচ্চকক্ষের সংসদ সদস্যও ছিলেন। ডাঃ. শ্রীকান্ত জিচকার সারা দেশে ঘুরে ঘুরে জ্ঞানের প্রচার করতেন। তিনি ধর্মীয় বক্তৃতা দিতেন এবং স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি সম্পর্কিত বিষয়েও কথা বলতেন। উজ্জ্বল অ্যাকাডেমিক হওয়ার পাশাপাশি জিচকার একজন মহান মঞ্চ অভিনেতা, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং একজন পেশাদার ফটোগ্রাফারও ছিলেন। এই মহান মানুষটি ২০০৪ সালে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ৫০ বছর বয়সে প্রয়াত হন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here