আরজি কর হাসপাতালে বাইক পার্কিং থেকেও টাকা তুলতেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠেরা। আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানিতে আদালতে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। বাইক পার্কিংয়ের টাকা যেত এই মামলায় অপর ধৃত তথা সন্দীপের ঘনিষ্ঠ আফসার আলির কাছেও।

আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আফসারকে। বৃহস্পতিবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁদের মামলার শুনানি ছিল। জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ আফসার। তাঁর আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে বাইক পার্কিং থেকে টাকা তোলার অভিযোগ। তা-ই যদি হয়, তা হলে সেই টাকা কোথায়? টাকা কি পাওয়া গিয়েছে? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কি পাওয়া গিয়েছে? যায়নি।’’

আফসারের আইনজীবী আরও জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির ধারায় মামলা রয়েছে। কিন্তু নথিতে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। জেলে গিয়ে তাঁকে আর কোনও জেরা করাও হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে যে দু’টি সংস্থাকে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই, তারও নথি মেলেনি, দাবি আইনজীবীর। সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে আফসারের নিয়োগ নিয়েও আদালতে প্রশ্ন উঠেছে।

আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, বাইক পার্কিং থেকে তোলা টাকা সরাসরি সন্দীপ এবং আফসারের কাছে যেত। এই সংক্রান্ত একাধিক সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সে কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সিবিআই জানায়, হাসপাতালের ভিতরে ক্যাফে তৈরি থেকে শুরু করে উন্নয়নমূলক যাবতীয় কাজ করার কথা পূর্ত দফতরের। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনকে না-জানিয়েই সেই কাজগুলির বরাত আফসারের সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

আফসারের নিয়োগ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার আদালতে জানান, আরজি কর হাসপাতাল থেকে তিন জন স্থায়ী কর্মী পদত্যাগ করেছিলেন। তার পর আফসার-সহ নতুন তিন জনের নিয়োগ স্থানীয় ভাবে করা হয়েছিল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার উত্তরে স্বাস্থ্যভবন থেকে জানানো হয়েছে, আফসার স্থায়ী কর্মী নন। তিনি চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। তাঁকে সরকারি কর্মচারী বলা যায় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here