দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অভয়ার পরিবারে কোনও আনন্দ নেই। এই বাড়ির উমার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে গত ৯ আগস্ট। বোধনের আগেই বাড়িতে তাই বিসর্জনের বিষাদ। তাই দেবীপক্ষের সূচনা হয়ে গেলেও, চোখের জল বাঁধ মানছে না আর জি করের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবার। তাই তাঁদের কণ্ঠে হাহাকার ছাড়া আর কিছু নেই।

নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা জানালেন, ২ বছর আগে বাড়ির গ্যারাজে পুজো শুরু করেছিলে চিকিৎসক কন্যা। আগা বাড়ির দুর্গা মূর্তিতে অষ্টমীতে ভোগ দিতেন মা। মেয়ে এমডি পাওয়ার পর ইচ্ছেপ্রকাশ করে ঘরোয়াভাবে দুর্গাপুজো করবে। বন্ধু আত্মীয় সবাই মিলে চারটে দিন। ২টো বছর পুজো করতে পেরেছিলেন। এবছরও পুজোর প্রস্তুতি ছিল পুরো পরিপাটি করে। কেনা ছিল মা দুর্গার শাড়ি। ঢাকির বুকিংটাও করা ছিল। কিন্তু পুজো আসার আগেই সব শেষ।

নিহত চিকিৎসকের বাবা জানালেন, এবারেও পুজোর প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছিল। ঢাকির বায়না হয়ে গিয়েছিল। এমনকী অগ্রিমও পৌঁছে গিয়েছিল। এখন তিনিও ফোন করে আকুল নয়নে কেঁদে চলেছেন।

মা জানালেন, ছোটবেলা থেকেই দুর্গাভক্ত মেয়ে। শিবের মাথায় জল দিয়ে পুজো করতেন তিনি। ডাক্তারিতে চান্স পেয়ে ঠিক করেন দুর্গাপুজো করবেন। মা জানিয়েছেন, “আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। আমি বললাম অনেক কষ্ট, অনেক খরচ, অনেক লোক লাগে। সব পারব মা। তুমি শুধু ভোগ করবে, আমি ঠাকুরঘরে। সেটাই করত। এতো সুন্দর আলপনা দিত, সবাই তাকিয়ে থাকত।”

আচমকা সব শেষ। পুজোর আগেই ছন্দপতন হয়ে গেল পরিবারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here