ঘন ঘন কালশিটে পড়া কিন্তু হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ। ব্লাড ক্যানসার বা বোনম্যারো ক্যানসার হলে কালশিটে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে।
শরীরে ভিটামিন সি বা কে-এর অভাবে কালশিটে পড়তে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন কে-এর পরিমাণ অতিরিক্ত কমে গেলে কালশিটে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও ভিটামিন কে’য়ের অভাব হলে নানান স্বাস্থ্যঝুঁকি, হাড়ের দুর্বলতা, হাড়ে খনিজের স্বল্পতা, হৃদরোগ, অস্টিয়োপোরোসিস, দাঁতের ক্ষয়, রক্তপাত, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।
লিভার সিরোসিসের কারণেও কিন্তু দেখা দিতে পারে কালশিটে। লিভার সিরোসিস হল যকৃৎ বা লিভারের দীর্ঘমেয়াদি একটি রোগ। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে এই রোগ দেখা দেয়। এই রোগে লিভারের কোষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। এবং লিভারের ভেতরের স্বাভাবিক গঠনের পরিবর্তন হয়। এছাড়াও লিভারের যে প্রোটিনটি রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে, সেই প্রোটিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এই অসুখ।
রক্ত ঠিক মতো জমাট না বাঁধলে কিংবা রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হলে কিন্তু কালশিটে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেই কারণে হেমোফিলিয়া জাতীয় রোগ থাকলে কালশিটে পড়ার প্রবণতা বেশি থাকে। হিমোফিলিয়া একটি জিনগত বিরল রোগ, যার ফলে শরীরের রক্ত ঠিকমতো জমাট বাধে না। শরীরের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। কোনও জায়গায় আঘাত লাগলেও অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়।
অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রেও কালশিটে একটি উপসর্গ হতে পারে। এই প্রকার রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমে যায় যে, শরীর রোগের মোকাবিলা করতে পারে না।
বিশেষ কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়াও হতে পারে কালশিটে পড়ার কারণ। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তাই এই ধরনের ওষুধ খেলে কালশিটে পড়ার আশঙ্কা থাকে।