শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শুধু জ্ঞানের বিষয়ই বলেননি, জীবন যাপন সম্পর্কেও বলেছেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে যে গীতার শিক্ষা দিয়েছেন তা প্রতিটি মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার জীবনে ভগবদ্গীতার আঠারোটি বিষয় অবলম্বন করে সে সমস্ত দুঃখ, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লোভ, আসক্তি, লোভ ইত্যাদি থেকে মুক্ত হয়। আসুন আমরা ভগবদ গীতার জ্ঞানের ১৮ টি জিনিস আরও জানি।
১. সুখ মানুষের মধ্যে বাস করে। কিন্তু পুরুষ তা খুঁজে বেড়ায় নারীর মধ্যে, গৃহে এবং বাহ্যিক আনন্দে।
২. শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে ভগবানকে শুধুমাত্র শরীর দিয়ে নয় মন দিয়েও পূজা করা উচিত। ঈশ্বরের আরাধনা তাদের প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ করে।
৩. মানুষের লালসাই তার পুনর্জন্মের কারণ।
৪. ইন্দ্রিয়ের অধীন হওয়ার কারণে মানুষের জীবনে ব্যাধি ও সমস্যা নিয়ে আসে।
৫. ধৈর্য, গুণ, স্নেহ এবং সেবার মতো গুণগুলি সৎসঙ্গ ছাড়া আসে না।
৬. শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে মানুষের পোশাক পরিবর্তন করার দরকার নেই। যা দরকার তা হল হৃদয় পরিবর্তন।
৭. যৌবনে যে বেশি পাপ করেছে তার বৃদ্ধ বয়সে ঘুম আসে না।
৮. ঈশ্বর যাকে সম্পদ দিয়েছেন তাকে অবশ্যই একটি গরু পালন করতে হবে।
৯. জুয়া, মদ্যপান, ব্যভিচার (অনৈতিক সম্পর্ক), হিংসা, অসত্য, নেশা এবং নিষ্ঠুরতা সবই কলিযুগের আবাসস্থল।
১০. অধিকারী শিষ্য অবশ্যই সদগুরু পায়।
১১. শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে মানুষের উচিত তার মনকে বারবার বোঝানো যে ঈশ্বর ছাড়া তার কেউ নেই। একই সময়ে এটা বিবেচনা করা উচিত যে তার কেউ নেই।
১২. ভোগের মধ্যে ক্ষণিক সুখ আছে। এছাড়াও, ত্যাগের মধ্যে স্থায়ী আনন্দ রয়েছে।
১৩. শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে সৎসঙ্গ ঈশ্বরের কৃপায় অর্জিত হয়। কিন্তু খারাপ সঙ্গে পড়া নিজের হাতে।
১৪. লোভ এবং স্নেহ পাপের পিতামাতা। এছাড়াও, লোভ পাপের জনক।
১৫. শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন যে প্রতিদিন তুলসী ও পার্বতীর পূজা করাই একজন নারীর ধর্ম।
১৬. মানুষের নিজের মন এবং বুদ্ধির উপর বিশ্বাস রাখা উচিত নয়। কারণ তারা মানুষের সঙ্গে বারবার প্রতারণা করে। নিজেকে নির্দোষ ভাবা বড় দোষ।
১৭. স্বামী-স্ত্রী যদি ধার্মিক জীবনযাপন করেন, তাহলে ভগবান পুত্র রূপে তাদের ঘরে আসতে চান।
১৮. এই সমস্ত মানদণ্ড যাচাই ও পরীক্ষা করার পরই ঈশ্বর মানুষকে গ্রহণ করেন।