‘ব্লু-টুথ’ হেডফোনের সূত্র ধরেই আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে আটক করল পুলিশ। গতকাল রাতেই আটক করে তাকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর ওই যুবকের নাম সঞ্জয় রায়। সেমিনার হল থেকে ব্লু টুথের ছেঁড়া তার পাওয়া যায়।আর ওই ছেঁড়া তারের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সেমিনার হলে নীল রঙের ম্যাট্রেসের উপর ‘ঘুমোচ্ছিলেন’ মহিলা চিকিৎসক। তাঁর মাথার কাছে ছিল ল্যাপটপ ও মোবাইল। সতীর্থ এক চিকিৎসক ডাকতে গিয়ে তাঁর মাথায় হাত রেখেই চমকে ওঠেন। কারণ তরুণী চিকিৎসকের দেহের নিচের অংশে পোশাক ছিল না। এই দৃশ্য দেখা মাত্রই চিৎকার করে বেরিয়ে আসেন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গেই টালা থানার পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। গতকাল রাতেই টালা থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চেস্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি ওই তরুণী। হাসপাতালে নাইট ডিউটি ছিল তাঁর। ওই মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
পুলিশে সূত্র জানিয়েছে, এত জোরে গলায় চাপ দেওয়া হয় যে, গলার হাড়ও ভেঙে যায়। খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়, এমন ইঙ্গিত মিলেছে। মুখ দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল। বাঁ গোড়ালি, পেট, গলা, ডান হাত, ঠোঁট, সঙ্গে দেহে বহু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যৌনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন। ওই অংশ থেকে ক্রমাগত রক্তপাত হয়েছে।
তবে পুলিশের ধারণা, এই ঘটনার পিছনে থাকা অভিযুক্ত তরুণীর অত্যন্ত পরিচিত। গতকাল রাতেই তিনতলার বিভিন্ন বিভাগে রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত ডিউটিতে থাকা প্রত্যেক চিকিৎসক ও নার্সকে জেরা করা হয়। পুলিশের ধারণা, ল্যাপটপ খুলে কাজ করছিলেন তরুণী। তখনই আততায়ী ভিতরে আসে। আবার সে সেমিনার হলের ভিতর লুকিয়ে ছিল, এমনও হতে পারে।পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে।