অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস থেকে বর্তমানে অসংযমী জীবনযাপনের কারণে বাড়ছে বিবিধ , এসবই আরও বাড়াচ্ছে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শরীরে আক্রমণ করে একাধিক রোগ। কিডনিতে পাথর এবং দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, বিপাকীয় সিন্ড্রোমের সঙ্গে যুক্ত। এগুলি এমন কিছু কারণ যা একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়, যা একটি জীবন-হুমকির চিকিৎসা অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে, এই ঝুঁকিগুলি এড়াতে, উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের প্রাথমিক লক্ষণগুলি ভালভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার উপকারী ভেবে খেতে মানুষ বেশি করে খান। কিন্তু দেখা যায় এই খাদ্যদ্রব্য গুলিই শরীরে বাড়িয়ে দেয় ইউরিক অ্যাসিড।
যেমন ধরুন সয়াবিন। প্রোটিনের অন্যতম সেরা উত্স হল ছোট্ট ছোট্ট সয়াবিন। কিন্তু জানেন কি সয়াবিন খেলে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড। মাছ মাংসের মতোই সয়াবিনে প্রচুর প্রোটিন থাকে।
তবে জানেন কি পুরুষদের কিন্তু বেশি সয়া বিন খাওয়া ভাল নয়।
সয়াবিনে ইস্ট্রোজেন হরমোন বেশি থাকে। এদিকে পুরুষদের মধ্যে তো টেস্টোস্টেরন হরমের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু যদি অতিরিক্ত মাত্রায় মাত্রায় সয়াবিন খাওয়া হয় তাহলে পুরুষদের পুরুষত্ব কমে যেতে পারে।
সয়াবিনে উপস্থিত সাইটোয়েস্টোজেন নামক রাসায়নিকের আধিক্য থাকার কারণে পুরুষ হরমোন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি বুক, পেটে চর্বিও জমতে থাকে। আবার যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাঁদেরও সয়াবিন খাওয়া উচিৎ নয়।
তবে হ্যাঁ, পুরুষরা প্রতিদিন ৭০ গ্রাম পর্যন্ত সয়াবিন খেতে পারেন। আর মহিলারা সপ্তাহে ৩ দিন ৩০-৫০ গ্রাম প্ররযন্ত সয়াবিন খেলে ভাল।