ট্রফি জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মোহনবাগান। বলা ভাল মরসুমের প্রথম জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে। শনিবার ডুরান্ড কাপের ফাইনাল খেলবে বাগান। প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড। গত মরসুমেও ডুরান্ড কাপ এসেছিল সবুজ-মেরুন বাহিনীর ঝুলিতে। এইবার জিতলে টানা দ্বিতীয়বার ডুরান্ড জয়ের হাতছানি থাকবে মোহনবাগানের সামনে। প্রতিপক্ষ নর্থইস্টের বিরুদ্ধে নামার আগে মোহনবাগান কোচ হোস কতখানি চাপে আছেন? তাঁর স্পষ্ট উত্তর, “আগামীকালের ম্যাচ আমাদের কাছে আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই। তবে, ফাইনাল ম্যাচের একটা চাপ থাকে সেটা অস্বীকার করা যায় না।” প্রসঙ্গত, আগামীকালের ম্যাচে নর্থইস্টের কর্ণধার জন আব্রাহাম উপস্থিত থাকতে পারেন।

শেষ দুইটি ম্যাচে ডিফেন্সের কারণে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে মোহনবাগানকে। টাই-ব্রেকারে বিশাল কাইথের বিশ্বস্থ গ্লাভসজোড়ার উপর ভর করেই ফাইনালে পৌঁছিয়েছে মোহনবাগান। কিন্তু রোজ রোজ তো তা সম্ভব নয়। ডিফেন্স কী তৈরি। এই বিষয়ে মোলিনা বলেছেন, “কেউই পুরোপুরি নিখুঁত হতে পারে না। আমরা কেউই নির্ভুল নই। আমরা চেষ্টা করি ভুলগুলো শুধরে যতট সম্ভব ঠিক করার। সেই রকমই রাতারাতি ডিফেন্স বদলে যাবে এই রকম ভাবাটা ভুল। তবে, আমরা কাজ করছি দ্রুত সেই ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার।” পাশাপাশি কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল ম্যাচে মোহনবাগানকে জিততে হয়েছে টাই-ব্রেকারে। মোলিনা চান ফাইনালের ফয়সালা যাতে ৯০ মিনিটের মধ্যেই করতে পারে তাঁর দল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জয় পাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। এই ম্যাচেও মোহনবাগান জিমি ম্যাকলারেন এবং আশিক কুরুনিয়ানকে পাবে না, জানিয়েছেন হোসে মোলিনা।

ডুরান্ডের ফাইনাল সল্টলেক স্টেডিয়ামে হওয়ায় মোহনবাগান হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে, এমনটা মানতে রাজি নন মোলিনা। তিনি বলেছেন, “একেবারেই কোনও অ্যাডভান্টেজ নয় ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলতে পারাটা। সমর্থকেরা গ্যালারিতে থাকবে, দলের জন্য চিৎকার করবে এটা অবশ্যই দলকে মোটিভেট করবে কিন্তু লড়াইটা কিন্তু মাঠের মধ্যে এগারো বনাম এগারো।”

অপর দিকে, মোহনবাগানের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা গ্রেগ স্টিওয়ার্ট জানিয়েছেন, তিনি ফাইনালের আগে কিছুটা চাপে রয়েছেন। তাঁর কথায়, “ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে এই ম্যাচে খেলার আগে আমি একটু চাপে রয়েছি। কারণ এটা মরণ-বাঁচন ম্যাচ। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে এই ম্যাচটি কঠিন হতে চলেছে।”

মোহবাগান এই মুহূর্তে যে ফর্মে রয়েছে তাতে প্রতিপক্ষের মনে ভয় থাকা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কোচ কী ভাবছেন? তিনি অবশ্য বলেছেন, তাঁরা খোলা মনে এই ম্যাচে মাঠে নামবেন। তাঁর কথায়, “আমাদের হারানোর কিছু নেই, একই সঙ্গে এখানে আমরা ঘুরতেও আসিনি। তাই মাঠের লড়াইয়ে আমরা নিজেদের উজার করে দেব।”

প্রসঙ্গত, শনিবার যদি সবুজ মেরুন বাহিনীকে হারিয়ে নর্থইস্ট জেতে তাহলে ইতিহাসে প্রথম বার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ট্রফি জয়ের নজির গড়বে তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here