পাইলস হোক বা ফিসচুলার সমস্যা অনেকেরই হয়ে থেকে। অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলে এই রোগ দেখা দেয়। সম্প্রতি, বাবা রামদেব পাইলস ও ফিশ্চুলা নিরাময়ের জন্য এমনই ঘরোয়া টোটকা (Ramdev Piles Remedy) নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।
তাঁর দাবি, সঠিক আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি ও ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে, মাত্র তিন দিনের মধ্যেই এই সমস্যাগুলি নিরাময় করা সম্ভব।
প্রথমত তিনি বলেন, গরুর দুধ ফুটিয়ে, সেটি ঠান্ডা করে, তাতে একটি লেবুর রস চেপে, ছানা হওয়ার আগেই দুধটি খেয়ে নিতে হবে। এমনটা পরপর তিন দিন করলেই নাকি ফল মিলবে পাইলস বা ফিসচুলা রোগের।
দ্বিতীয় উপায় হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, একটুকরো কলার ভিতরে ছোট একটা কর্পুরের টুকরো ভরে কলাটি গিলে খেয়ে নিতে হবে। এটাও পরপর তিন দিন করতে হবে। বাজারের কর্পুরের চেয়ে তাঁর কোম্পানি পতঞ্জলির কর্পুরে কাজ বেশি হবে, সেটাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
এছাড়াও তাঁর পতঞ্জলির প্রোডাক্ট অর্শঘৃত এবং অ্যালোভেরার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি বলেন চার চামচ জলে চার চামচ অভয়ারিস্ট ওষুধ গুলে খেলেও কাজ হবে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও ত্রিফলা চূর্ণ ও আকুপ্রেশারের কথাও বলেন তিনি।
পাইলস, ফিসচুলার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। পায়ুদ্বারের মুখে এই ধরনের রোগই দেখা দিতে পারে। সেডেন্টারি লাইফস্টাইলের জন্য এখন এ ধরনের রোগ প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। কারও মধ্যে এ রোগের লক্ষণ প্রকট, কারও আবার কম। পাইলসের সঙ্গে কিন্তু ফিসচুলার ফারাক আছে।
আমরা মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি পায়ুদ্বারের গঠনের জন্য। অনেকটা ইলাস্টিকের মতো হয় এই অংশটা। ফলে প্রয়োজন মতো সেই জায়গা প্রসারিত ও সংকুচিত করা যায়। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বা বারবার মলত্যাগের জন্য সেই জায়গায় অসংখ্য ছোট-ছোট শিরা-উপশিরাগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। অনেক সময় ওই জায়গাটা চিরে যায়, সেখান থেকে রক্ত বের হয়। ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে।
পাইলস হলে পায়ুদ্বার বা রেক্টামের জায়গায় আঙুরের থোকার মতো মাংসপিণ্ড বেরিয়ে আসে। আর ফিসচুলার ক্ষেত্রে পায়ুপথে অনেকটা নলের মতো গঠন তৈরি হয়। এই নলের একদিক থাকে ভেতরে ও অন্যদিক পায়ুদ্বারের ঠিক পাশে। ওই সংযোগ পথ দিয়েই তখন স্টুল, জলীয় অংশ বেরতে থাকে। একটা চ্যানেল তৈরি হয়ে যায়। ওই পথে ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে নলের মুখটা ফেটে যায়। সেখান দিয়ে পুঁজ, রক্ত বের হতে থাকে। ফিসচুলায় যন্ত্রণা তো হয়ই। তার সঙ্গে ভীষণ দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হয়।