একটি দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত করতে ভালবাসা ও শারীরিক ঘনিষ্ঠতা ভীষণভাবে প্রয়োজন। যৌন মিলন হোক বা রোম্যান্স দুটি মানুষের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করে। কেউ কেউ সম্পর্কের মধ্যে রোম্যান্স ভালবাসেন। তবে কিছুজন আবার রোম্যান্সের নাম শুনলেই পালাই পালাই করে। আসলে এই জাতক-জাতিকারা হয়তো নিজের সঙ্গীকে রোম্যান্স করার মতো ততটা আকর্ষণীয় মনে করেন না। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন কিছু রাশির উল্লেখ পাওয়া যায়, যাঁরা নিজের সম্পর্কে রোম্যান্স একটু কম পছন্দ করেন। দেখে নিন কী কী-

কুম্ভ- এই রাশির জাতকরা কৌতূহলী ও বুদ্ধিজীবী। এঁরা শুধু তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন, যাঁদের কাছ থেকে এঁরা বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর পান ও কিছু শিখতে পারেন। সঙ্গীর রোম্যান্টিক স্বভাব ও সম্পর্ক এঁদের কাছে গুরুত্বহীন। তাঁরা মোটেও রোম্যান্সের তাগিদ অনুভব করেন না। এঁরা মন দিয়ে নয়, মস্তিষ্কের সাহায্য বিচারবুদ্ধি করে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেন।

ধনু- এই রাশির জাতকরা অন্তর্মুখী হন। সঙ্গীর জন্য সময় বের করে তাঁদের জন্য রোম্যান্টিক কিছু করা এই জাতকদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। জ্যোতিষ বলছে এই রাশির জাতকরা নিজের জীবনে রোম্যান্সের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না এবং এ কারণে এ বিষয়ে বিশেষ কিছু চিন্তাভাবনাও করা থেকে বিরত থাকেন।

মিথুন- জ্যোতিষ বলছে এই রাশির জাতকরা রোম্যান্সের ক্ষেত্রে এতটাই নিরাশাবাদী যে সম্পর্কে কোনও চমক আনতে চান না। এই রাশির জাতকরা অত্যন্ত গতিশীল। বুদ্ধি দিয়ে সমস্ত কিছু বিচার করতে চান। তাই এঁরা অনেক সময় নিজের রোম্যান্টিক সম্পর্ককে এড়িয়ে যান।

কন্যা- আবেগপ্রবণ এই রাশির জাতকরা নিজের এই দুর্বলতা ও সম্পর্কে কোনও ক্ষতির আশঙ্কার কারণে নিজের আবেগ-অনুভূতিকে দমিয়ে রাখেন। আহত হওয়ার ভয়ে এঁরা সম্পর্কের মধ্যে রোম্যান্টিক ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতে চান না। নিজের সঙ্গীর সঙ্গে আবেগপ্রবণ ভাবে সংযুক্ত হতে পারেন না এঁরা। তবে রোম্যান্টিক না-হলেও এই রাশির জাতকরা নিজের সঙ্গীর প্রতি অত্যন্ত অনুগত।

মকর- এই রাশির জাতকরা প্রেমে পড়তে প্রচুর সময় নেন। কোনও সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এঁরা সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন। লক্ষ্য নির্ধারিত জীবনযাপন করে থাকেন এই রাশির জাতকরা। এ কারণে এঁরা নিজের ও সঙ্গীর রোম্যান্টিক আবেগের প্রতি মনোনিবেশ করতে পারেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here