
মৌনি অমাবস্যায় মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গিয়েছে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে। পুণ্য তিথিতে স্নান করার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। আর তাতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। আচমকা হুড়োহুড়ি, দৌড়াদৌড়িতে মানুষেরই পায়ের নীচে চাপা পড়তে থাকেন মানুষ। কী ঘটেছিল ঠিক সেই সময়?
রাত আড়াইটের দিকে পুণ্যস্নানের জনস্রোত যেন প্লাবনের চেহারা নেয়। আচমকা দৌড়াদৌড়ি। সকলেই পুণ্যলাভে মরিয়া। রাস্তার মধ্যে রাখা ছিল বড় বড় লোহার ডাস্টবিন। দেখতে না পেয়ে কারও কারও পা তাতেই আটকে পড়ে গেলেন হুমড়ি খেয়ে। একজনের ওপর আরেকজন। পায়ে-পা জড়িয়ে চোখের সামনে মানুষ পড়তে লাগলেন। যারা তোলার চেষ্টা করলেন, পিছন থেকে আসা ধাক্কায় তাঁরাও হুমড়ি খেয়ে পড়লেন মাটিতে। মানুষ হতে থাকলেন পদপিষ্ট। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এক পুণ্যার্থীর এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
কেউ চোখের সামনে দেখেছেন প্রিয়জনকে পিষে যেতে। কেউ খুঁজেই পাচ্ছেন না স্বজনকে। মহাকুম্ভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১০ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু আরও যে কত প্রাণ যাবে তা কে বলতে পারে!
জখম হয়েছেন অনেকে, গুরুতর আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। দুর্ঘটনার পরেই ফোনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত পুণ্যস্নানে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছে আখড়া সমাজ। বেশ কয়েকটি আখড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহাকুম্ভে আজ আর শাহিস্নান করবেন না তাঁরা। ১৪৪ বছরে একবার হয় মহাকুম্ভ। মানুষের বিশ্বাস, এই সময় জলে একবার ডুব দিলেই হয় যাবতীয় পাপস্খলন। ২৯ জানুয়ারি ছিল এবারের মহাকুম্ভের তৃতীয় শাহী স্নান। তাই পুণ্যলোভী মানুষ ভিড়ও জমিয়েছিলেন। লাগামছাড়া ভিড়েই ঘটল পদদলিত হওয়ার মতো দুর্ঘটনা।