রাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্র্যাফিক আধিকারিকদের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে যে নিয়মগুলির কথা লেখা রয়েছে তা অবশ্য আগেই ছিল, এহন এই ডামাডোল সময়ে তা শুধু মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ট্র্যাফিক পুলিশের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—

  • রাতে কাজের সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত থাকতে হবে আধিকারিকদের। এলাকা পাহারা দিতে হবে।
  • এক জন আধিকারিক রাতে গাড়িগুলিতে নাকাতল্লাশির দায়িত্বে থাকবেন। ট্র্যাফিক নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো হচ্ছে কি না, গতি নিয়ন্ত্রণে থাকছে কি না, কেউ হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছেন কি না এবং কোনও গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় রয়েছেন কি না, তা দেখবেন ওই আধিকারিক।
  • আর এক আধিকারিক নিজের এলাকায় বাহিনী নিয়ে টহল দেবেন। হাসপাতাল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বহুতল, শপিং মলের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ নজর রাখতে হবে। মহিলা এবং শিশুদের সুরক্ষাব্যবস্থা সঠিক রয়েছে কি না, তা-ও নজরে রাখতে হবে।
  • কোথাও কোনও সন্দেহজনক ঘটনা দেখলেই ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দেবেন আধিকারিকেরা। প্রয়োজনে খবর দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডেপুটি কমিশনারকেও।
  • কোনও অপরাধের ঘটনা দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে রাত-পাহারার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের।
  • এই সমস্ত আধিকারিকদের নাম, কাজের খতিয়ান প্রতি দিন নথিভুক্ত করে লালবাজারের মূল কন্ট্রোল রুমে পাঠাতে হবে।
  • ট্র্যাফিক পুলিশের ওসি-কে প্রতি দিন কাজ সম্বন্ধে রাতের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বোঝাতে হবে এবং তাঁদের পরিচালনা করতে হবে।
  • রাতের রাস্তায় যে সমস্ত খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলে, তার দিকেও সর্বদা নজর দিতে হবে ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকদের। কোথাও কোনও সমস্যা হলে উপরমহলে জানাতে হবে।
  • রাতের এই ট্র্যাফিক আধিকারিকেরা ‘বডি ক্যামেরা’ ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ, তাঁদের শরীরের সঙ্গে ক্যামেরা লাগানো থাকবে। তা প্রতি মুহূর্তে চালু রাখতে হবে এবং সব ঘটনা তাতে রেকর্ড করতে হবে।
  • রাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, সজাগ রয়েছেন কি না, তার উপর নজরদারি চালাবেন এসি বা ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক।
  • প্রত্যেক আধিকারিককে নির্দিষ্ট অস্ত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here