
সালটা ১৯৩৬, সেই সময় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু গৃহবন্দি। তবে তখন তিনি কলকাতায় নেই, আছেন কার্শিয়াং এ৷ এই বাড়িতে বসেই নেতাজি চিঠি লিখলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জওহরলাল নেহেরুদের। চলল ব্রিটিশ বিরোধী চক্রান্ত, ভাষনের খসড়া লেখার প্রস্তুতি।
১৯৩৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নেতাজি কার্শিয়াংের গিদ্দা পার্বত্য অঞ্চলের একটি বাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে ছিলেন। বাড়িটি কিনেছিলেন ১৯২২ সালে তাঁর দাদা শরৎ চন্দ্র বসু। প্রথমে গৃহবন্দি থাকলেও পরে
অনেকবার বেড়াতে এসেছেন এই বাড়িতে নেতাজি। ১৯৯৬ সালে এই ভবনটি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। এখন এটি “নেতাজি মিউজিয়াম” হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
গিদ্দা পাহাড়ের কাছে অবস্থিত এই সাদা বাড়িটিতে গেলে মিলবে নেতাজির হাতে লেখা অজস্র খসড়া, চিঠি। তার মধ্যে একটি আবার স্বয়ং বিশ্বকবি তাঁর স্নেহের সুভাষকে পাঠিয়েছিলেন।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিবসে তো বটেই, আজও প্রতিদিন এই ব্রিটিশ ধাঁচে তৈরি বাড়িটিতে সকাল হলেই নেতাজির ছবির সামনে জ্বলে ওঠে ধূপ, দীপ। মালা, পুষ্প, চন্দনে উদ্ভাষিত হয়ে ওঠেন সুভাষ।