বেনারসের সঙ্গে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর গভীর সম্পর্ক ছিল। তিনি বহুবার বেনারসে গিয়েছিলেন। নেতাজির মাসির প্রপৌত্র বীরভদ্র মিত্র একবার জানিয়েছিলেন সুভাষ প্রথমবার তিন থেকে চারজন সঙ্গী নিয়ে বেনারসে এসেছিলেন। সেই সময় তিনি সন্ন্যাসী হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। তাই হরিদ্বার, হৃষিকেশ, আলমোড়া হয়ে বেনারসে পৌঁছেছিলেন। এই সময় রামকৃষ্ণ মিশনও পৌঁছে গিয়েছিল।
দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি হওয়ার পর আসেন তিনি বেনারস। মিটিংটি বিএইচইউতে হওয়ার কথা ছিল, ক্যান্ট স্টেশন থেকে বিএইচইউ পর্যন্ত এত ভিড় ছিল যে সভাস্থলে পৌঁছতে রাত ১১.৩০ হয়ে গিয়েছিল।
সভাস্থলে পৌঁছানোর জন্য শিবপ্রসাদ গুপ্ত সুভাষকে নিজের গাড়ি দেন। তাঁর সভা বাঙালী টোলা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং পান্ডে হাভেলিতে অবস্থিত চিত্তরঞ্জন পার্কেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মানুষ তাঁর কথা শোনার জন্য ভিড় জমিয়েছিল।
১৯৩৯ সালে কংগ্রেস ছাড়ার পর, নেতাজি যখন ১১ মাসে সারা দেশে ৯০০টি সভা করেছিলেন, তখন তিনি বেনারসেও এসেছিলেন। কামছায় যখন ভারত কলা ভবন উদ্বোধন করা হয়েছিল, সেই উপলক্ষেও নেতাজি বেনারসে এসেছিলেন। ভারত কলা ভবনে নেতাজি সম্পর্কিত অনেক স্মৃতি সংরক্ষিত আছে।
নেতাজির মাসি ও মেসো বেনারসে থাকতেন। তাঁর মেসো বেনারসে আইন অনুশীলন করতেন এবং চৌখাম্বাতে অবস্থিত বাঙালি দেওধীতে থাকতেন। নেতাজির মাসির প্রপৌত্র বীরভদ্র মিত্র বলেছেন যে তাঁর বাবা বলতেন নেতাজি একবার বা দুবার বাঙালি দেউড়িতেও গিয়েছিলেন। খুব গোপনে এসে দু-একদিন থাকার পর চলে গেল।
নেতাজির মনে কাশীকে নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল। সে আমলে বেনারসের তাঁতিদের বিদ্যুৎ দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, বেনারসের তাঁতিদের বিদ্যুৎ দেওয়া হলে আমরা ল্যাঙ্কাশায়ার ও ম্যানচেস্টারে কাপড় রফতানি করতে পারব।