জগৎবল্লভপুর এলাকার ধান খেতে একাধিক হনুমানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে আলোড়ন পড়ে যায়। এমন ঘটনা কেমন করে ঘটল? তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। যদিও ওই হনুমানগুলির দেহে সেভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তবে মুখ দিয়ে শুধু বেরিয়ে পড়েছে গ্যাঁজলা। যা দেখে অনেকে অনুমান করছেন, বিষ খাইয়েই হত্যা করা হয়েছে পবনপুত্রদের। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
একের পর এক হনুমানদের এমন মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা আছে তা খোঁজ করা শুরু হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে। এটা যে এই প্রথম ঘটল তেমন নয়। গত ১০ দিন ধরে সেখানে একের পর এক হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। সবই এভাবেই ঘটেছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। সেখান থেকে কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। আর তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। এভাবে একের পর এক হনুমানের মৃত্যুতে উদ্বেগে পড়েছেন পরিবেশ প্রেমীরাও।
তবে এগুলি যে স্বাভাবিক মৃত্যু নয় তা বুঝতে পেরেছেন বন দফতরের কর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনাও হয়েছে। এবার তাই হনুমানগুলির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হযেছে। কলকাতার বেলগাছিয়া এবং হাওড়ার আমতায় দেহগুলি পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই আসল মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। মৃত হনুমানগুলির মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখে সন্দেহপ্রকাশ করছেন বন দফতরের অফিসাররা। বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
কদিন আগে এই জগৎবল্লভপুরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের বাটন দাসপাড়া গ্রামে হনুমানের তাণ্ডব দেখা গিয়েছিল। তখন হনুমানের আঁচড়ে এবং কামড়ে দেয় কয়েকজন মানুষকে। সেই খবরও পৌঁছে গিয়েছিল বন দফতরের কাছে। সেটার প্রতিশোধে কোনও গ্রামবাসী এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই অনুমান করা হচ্ছে, কেউ বা কারা পরিকল্পিতভাবে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ওই হনুমানগুলিকে খাইয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রমাণ পেতে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দাদের বক্তব্য, মাঠের ফসল বাঁচাতে নানারকম কীটনাশক ছড়ানো হয়। তা থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে কিনা বলা যাচ্ছে না।