জয়ের সরণিতে ফিরল মোহনবাগান। প্রায় ২৪ দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল হোসে মোলিনা’র দল। তাই সোমবার একটু অন্যরকম মেজাজে দেখা গেল বাগান সমর্থকদের। এ দিন ২৫ হাজার স্কোয়ারফুটের একটি টিফো প্রদর্শিত হয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। সম্পূর্ণ হাতে আঁকা এই টিফোতে ছিল ক্লাবের সোনালী ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে ময়দানের বর্ষীয়ান ক্রীড়াপ্রশাসক টুটু বসু’কে নিয়েও একটি টিফো প্রদর্শন করা হয়, যা কার্যত হৃদয়স্পর্শ করে নেয় বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমীদের।
প্রথমার্ধে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি মোহনবাগান’কে। তারউপর আপুইয়া এবং শুভাশিস বসু হলুদ কার্ড দেখায় চাপে পড়ে যায় তারা। সেই সঙ্গে বেঙ্গালুরু ফুটবলারদের ঘেরাটোপে ছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ফলে মাঝমাঠ থেকে মাঠের অন্য প্রান্তে বল সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায় সবুজ-মেরুনের। যা বেশ খানিকটা সমস্যায় ফেলে তাদের। এই অর্ধে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় সুনীল ছেত্রী’দের। নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়া করে ঝটিকি আক্রমণ থেকে শুরু করে গোলমুখী শট, সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল জেরার্ড জারাগোজার দল। এ দিন প্রথমার্ধের শেষ দিকে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সুনীল, তা না হলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হত মোহনবাগান’কে।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দুরন্ত ছন্দে দেখা যায় মোলিনা’র ছাত্রদের। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে অবিশ্বাস্য গোল করেন লিস্টন কোলাসো। বাঁ দিক থেকে স্টুয়ার্টের ক্রস রাহুল ভেকে হেড দেওয়ার পর বলটি লিস্টনের পায়ে এসে পৌঁছয়। এরপর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে হাওয়ায় থাকা বলটিকে জালে জড়িয়ে দেন। এই সুবাদে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাগান বাহিনী।
গোলের পর মুহূর্তে লিস্টনকে তুলে চোট কাটিয়ে ফেরা আশিক কুরুনিয়ানকে নামান মোলিনা। তাঁরই সঙ্গে নামানো হয় জেসন কামিন্সকে। শেষের দিকে ম্যাকলারেনকে তুলে নামানো হয় দিমিত্রি পেত্রাতোসকে। আক্রমণে একাধিক পরিবর্তন করলেও গোল সংখ্যা বাড়েনি মোহনবাগানের। বরং শেষ মুহূর্তে রাহুল ভেকে ক্লিয়ার নেট মিস করেন। এই জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে উঠে এলো মোহনবাগান।