সাধারণত বয়স ৪৫-এর কাছাকাছি পৌঁছলে স্বাভাবিক ঋতুচক্র ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে আসে। ঋতুস্রাব হওয়ার মতো ঋতুবন্ধও একটা খুব সাধারণ ঘটনা। কিছু বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে শরীর জানান দেয় ঋতুস্রাব বন্ধর সময় এগিয়ে আসছে।
১) ঋতুবন্ধের আগে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের উৎপাদনের হার কমতে শুরু করে। তার প্রভাবে গোপনাঙ্গ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে যৌনাঙ্গে অস্বস্তি, জ্বালা বা চুলকানির মতো সমস্যাও দেখা যায়।
২) ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমতে থাকলে মূত্রথলির কার্যক্ষমতাও হ্রাস পায়। প্রস্রাবের বেগ অনুভূত হলেও ত্যাগ করতে অসুবিধা হয় অনেকেরই। বার বার মূত্রনালির সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
৩) ঋতুচক্র শুরু হওয়ার আগে অনেক মেয়েই স্তনে ব্যথা অনুভব করে থাকেন। স্তনবৃন্তের আশপাশেও ব্যথা হয় অনেকের। এই একই রকম লক্ষণ কিন্তু পাকাপাকি ভাবে ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় এলেও দেখা দিতে পারে।
৪) শরীরের পাশাপাশি হরমোনের প্রভাব পড়ে মনের উপরেও। এই সময়ে মানসিক অবসাদ, উদ্বেগের মতো সমস্যা বেড়ে যায়। পরিবার এবং কাছের মানুষদের বিশেষ ভাবে সচেতন থাকতে হয়।
৫) ঋতুবন্ধ হওয়ার সময়ে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। শারীরিক তো বটেই, মানসিক নানা পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে ঘুমের উপর।