হিন্দু ধর্মের এক মহাকাব্যের নাম মহাভারত। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ তারই একটি অংশ। শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে এই অসম্মানের হাত থীকে রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু কেন কানাই এই কাজটি করেছিলেন, এর নেপথ্য গল্পটিই বা কি?

শিবপুরাণে বলা হয়েছে, ভগবান শিবের অবতার ঋষি দূর্বাসা একবার স্নান করতে নদীর তীরে গিয়েছিলেন। নদীর প্রবল স্রোতের কারণে তাঁর বস্ত্র নদীতে ভেসে যায়। দ্রৌপদীও ঋষি দূর্বাসার থেকে কিছু দূরে স্নান করছিলেন। তিনি ঋষিবরকে সাহায্য করার জন্য নিজের কাপড় ছিঁড়ে /সেই টুকরো দুর্বাসাকে দেন। এই কারণে ঋষি দ্রৌপদীর প্রতি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে তাকে চিরন্তন হওয়ার এবং সংকটকালে রক্ষা করার বর দেন।

এই আশীর্বাদের কারণে, কৌরব সমাবেশে দুঃশাসন যখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করার চেষ্টা করেন তখন বস্ত্র ক্রমশ বাড়তে থাকে, কুরু কূলবধুরর সম্মান রক্ষা হয়। এই কাজ শ্রীকৃষ্ণ দ্বারা সম্পন্ন হয়েছিল। ঋষি দূর্বাসাকে শিবের অবতার বলে মনে করা হয়। তিনি ছিলেন ব্রহ্মার পুত্র অত্রি ও অনুসূয়ার পুত্র। তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব তিনজনই তাঁদের কাছে হাজির হন এবং বর চাইতে বললেন। এরপর অত্রি ও অনুসূয়া ত্রিদেবের কাছে তাদের পুত্র হিসাবে জন্মের জন্য বর চান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here