মহাভারতে পাওয়া যায় যে শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং বাস্তুশাস্ত্রের বিষয়ে যুধিষ্ঠিরকে পাঁচটি উপদেশ দান করেছিলেন। তাঁর রাজ্যাভিষেকের সময় যুধিষ্ঠিরকে এই পাঁচ বাস্তু পরামর্শ দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এই পাঁচ পরামর্শ মেনে চললে যুধিষ্ঠিরের প্রাসাদে ও রাজ্যে সর্বদা সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছিলেন কৃষ্ণ।চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী টিপস দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি দূর করার জন্য বাড়িতে একটি চন্দন গাছ পোঁতার কথা বলেছেন শ্রীকৃষ্ণ। যে বাড়িতে চন্দন গাছ থাকে, সেই বাড়িতে কোনও বাস্তু দোষ প্রভাব ফেলতে পারে না। বর্তমান সময়ে বাড়িতে চন্দনগাছ পোঁতা সম্ভব নয়। সেই কারণে বাড়িতে খাঁটি চন্দনকাঠ অবশ্যই রাখুন। এর ফলে আপনার ঘরে নেগেটিভ এনার্জি প্রবেশ করবে না।
যে বাড়িতে খাঁটি গাওয়া ঘি থাকে, সেখানে শুদ্ধতা ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে বলে জানিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। যে সংসারে রোজ একটি করে ঘি-এর প্রদীপ জ্বালানো হয়, সেখানে কখনও অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে পারে না। পরিবারের সদস্যদের মনের সব ইচ্ছে পূরণ হয়। বাড়িতে দেশী ঘি-এর প্রদীপ জ্বালালে সব পাপ মুছে যায়, পরিবেশের সব অশুদ্ধতা দূর হয়ে যায় এবং সংসারে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য বিরাজ করে।
শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শ অনুসারে বাড়িতে মধু রাখা অত্যন্ত শুভ। মধুর গোটা পরিবেশকে শুদ্ধ করার ক্ষমতা আছে। সেই কারণে পুজোয় মধু ব্যবহার করার রীতি রয়েছে। রোজ এক চামচ করে মধু খেলে সব অসুখ বিসুখ চলে যায়।
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে পরিবারে শুদ্ধ জল আছে এবং যেখানে জল সঞ্চয় করার পাত্র সঠিক স্থানে রয়েছে, সেই সংসারে সব সময় সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। জল রাখা উচিত বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে।
শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শ অনুসারে প্রত্যেক বাড়িতে মা সরস্বতীর একটি মূর্তি বা ছবি অবশ্যই রাখা উচিত। জ্ঞান, বিদ্যা, সঙ্গীত ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতী হলেন বীণাবাদিনী। বাড়িতে বীণা রাখাও তাই অত্যন্ত শুভ।