দীপান্বিতা অমাবস্যা পূর্ববর্তী রাতের নাম ভূত চতুর্দশী। শুনলেই কেমন গা ছম ছম করে ওঠে তাই না। ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক খাওয়া হয়, পাশাপাশি জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। কেন যুগের পর যুগ ধরে ভূত চতুর্দশীতে প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম কেন চলে আসছে জানেন কি?
বলা হয়, এই বিশেষ রাতটিতে বিদেহী আত্মারা মর্তে নেমে আসেন। কোনও কুআত্মার প্রভাব যাতে গৃহে না পড়ে তার জন্যই জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। যেহেতু চতুর্দশীর রাত, তাই ১৪ প্রদীপ জ্বালানোই নিয়ম হয়ে এসেছে প্রাচীন কাল থেকে। আরও একটি মত গ্রহণযোগ্য। মূলত বংশানুক্রম্যতালিকা বোঝাতে ১৪ পুরুষ পর্যন্ত বোঝানো হয়। কথিত রয়েছে, ১৪ প্রদীপের শিখা ধরে উত্তরপুরুষকে আশীর্বাদ করতে আসেন পূর্বতন ১৪ পুরুষ।
এই ১৪ পুরুষ হলেন, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতামহী, প্রমাতামহী, বৃদ্ধপ্রমাতামহী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। অশুভ আত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ভূত চতুর্দশীর দিনে যে মন্ত্র জপ করা হয়, তা হল ‘শীতলঞ্চ সমাযুক্ত সকণ্টক দলান্বিত। হরপাপ সপামার্গে ভ্রাম্যমাণঃ পুনঃ পুনঃ।’ এই মন্ত্র পাঠের ফলে অশুভ আত্মার ভয় কেটে যায়।